পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতের (Patuartek Sea Beach) একপাশে পাহাড়, অন্য পাশে সমুদ্র। সেন্টমার্টিনের মতো এই সৈকতে আছে প্রচুর জীবন্ত কোরাল পাথর। যার কারণে পর্যটকদের আছে পাটুয়ারটেকের আকর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত কোথায় অবস্থিত
পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে অবস্থিত। কক্সবাজার শহর থেকে পাটুয়ারটেকের দুরুত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।
পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতের গুগল ম্যাপ লোকেশন: এখানে ক্লিক করুন
পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত কিভাবে যাবেন
পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত দেখতে হলে প্রথমেই আপনাকে কক্সবাজার শহরে আসতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসার জন্য বাস, ট্রেন এবং প্লেন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে। বাসে কক্সবাজার আসতে সাধারণত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। আপনি সরাসরি কাউন্টারে গিয়ে অথবা অনলাইনে টিকেট কাটতে পারেন।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বর্তমানে প্রতিদিন দুটি ট্রেন চলাচল করছে। পর্যটক এক্সপ্রেস সকাল ৬:১৫ মিনিটে এবং কক্সবাজার এক্সপ্রেস রাত ১০:৩০ মিনিটে কমলাপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। এই ট্রেনগুলোর কক্সবাজার পৌঁছাতে প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় নিবে। এছাড়া ইচ্ছে করলে প্লেনে প্রায় ৫০ মিনিটে কক্সবাজার চলে আসতে পারেন।
কক্সবাজারের ডলফিন মোর থেকে অটো, সিএনজি বা চান্দের গাড়ি ভাড়া করে মেরিন ড্রাইভ রোড ব্যবহার করে চলে আসবেন পাটুয়ারটেক। চান্দের গাড়ি ভাড়া প্রায় ৪৫০০ টাকা। হাতে সময় থাকলে সিএনজি বা অটো ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে খরচ আরো কম হবে। সিএনজি ভাড়া ১০০০/১৫০০ টাকা। অটো ভাড়া ১০০০/১২০০ টাকা।
মেরিন ড্রাইভ রোডে বেশ কিছু ট্যুরিস্ট স্পট রয়েছে, যাত্রাপথে সেগুলো দেখে নিতে পারেন। যানবাহন ঠিক করার সময় এসব জায়গার কথা উল্লেখ করে নিবেন।
পাটুয়ারটেক কখন যাবেন
যেকোনো সময়েই আপনি পাটুয়ারটেক বীচ যেতে পারেন। তবে সব থেকে ভালো হয় বিকালে গেলে। ওই সময় ভীড় একটু কম থাকে। আর পাটুয়ারটেক বীচ থেকে সূর্যাস্ত দেখতে দারুন লাগে। সকালে কক্সবাজারে সময় কাটিয়ে দুপুরের একটু আগে রওনা দিয়ে মেরিন ড্রাইভে কোনো রেস্টুরেন্ট লাঞ্চ করে নিতে পারেন। লাঞ্চ শেষে চলে যাবেন পাটুয়ারটেক।
কোথায় থাকবেন
এখন পাটুয়ারটেক বীচের কাছে বেশ কিছু হোটল ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে ইনানী রয়াল রিসোর্ট, রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট, লা বেল্যা রিসোর্ট, ডেরা রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য। তবে এখান থেকে কক্সবাজার অনেক কাছে, তাই এখানে না থেকে কক্সবাজার এসে পছন্দ মতো কোন হোটেলে থাকাই ভালো।
কোথায় খাবেন
এখই মেরিন ড্রাইভে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। ড্রাইভার কে বললে ভালো কোথাও নিয়ে যাবে। বিচের কাছে কিছু টং দোকান আছে। যেখানে পানি, কোক, কেক ইত্যাদি হালকা খাবার কিনতে পারবেন। এছাড়া কক্সবাজার এসেও কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। পৌষি, ধানসিঁড়ি, রোদেলা, ঝাউবন, নিরিবিলি রেস্টুরেন্ট কক্সবাজারে বেশ জনপ্রিয়।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।