কলকাতা (ইংরেজি: Kolkata), আদি নাম কলিকাতা (Calcutta) ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী যা হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত। এই শহর এক সময় ভারতের শিক্ষা, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির প্রধান কেন্দ্র ছিল। অল্প খরচে বিদেশ ভ্রম, কেনাকাটা কিংবা চিকিৎসা সব কিছুর জন্যই কলকাতা এখন বাংলাদেশীদের প্রথম পছন্দ। আসুন শুনি সড়ক পথে কলকাতা ভ্রমণ এর অভিজ্ঞতা।
কলকাতা কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়া এখন আগের থেকে অনেক সহজ। আপনে স্থল পথে কিংবা আকাশ পথে যেকোনো ভাবেই কলকাতা যেতে পারেন। তবে সবার আগে দরকার ইন্ডিয়ান ভিসার। যা আপনে ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) এ আবেদন করে সহজেই পেতে পারেন। ঢাকায় আগে বেশ কটি আইভ্যাক সেন্টার থাকলেও এখন সব গুলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বসুন্ধরার কাছে যমুনা ফিউচার পার্কে বিশাল আকারে নতুন আইভ্যাক সেন্টার খোলা হয়েছে। ওয়েব সাইট থেকে ফর্ম পূরণ করে, প্রিন্ট করে এখানে জমা দিতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ দিনের মাঝেই পেয়ে জাবেন ইন্ডিয়ান ভিসা। কিভাবে পাবেন ইন্ডিয়ান ভিসা তা এই পোস্টে বিস্তারিত লেখা আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন। আশা করি কাজে আসবে।
সড়ক পথে কলকাতা ভ্রমণ
প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঢাকা থেকে অনেকগুলো বাস ছেড়ে যায় কলকাতার উদ্দেশ্যে। কিছু বাস সরাসরি ঢাকা থেকে কলকাতা যায় এবং কলকাতা থেকে ঢাকায় আসে। মাজখানে কোনো বাস বদলাতে হয়না। শ্যামলী, বিআরটিসি, সৌহার্দ্য এই বাস গুলি সরাসরি সার্ভিস প্রধান করে থাকে। এগুলা কেবল দিনের বেলায়, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়।
এছাড়া শ্যামলী, গ্রিন লাইন, সোহাগ, রয়েল, লন্ডন সার্ভিস এইতাদি বাসও ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে চলাচল করে। এদের ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত এক বাস আবার বর্ডার পার হয়ে পেট্রাপোল থেকে ওদেরই অন্য বাসে যাত্রী পরিবহন করে। এগুলা সাধারণত রাতের বেলার ছাড়ে। এদেরকে কাটা সার্ভিস বলে। এদের এসি এবং নন এসি দুই ধরণের বাসই রয়েছে। নন এসি বাসের ভাড়া ৭০০/৮০০ তার মধ্যে আর এসি বাসের ভাড়া ১৫০০ টাকার মতো।
এছাড়া আপনে বিসনেস ক্লাস নামে এক ধরণের বিলাসবহুল বাস রয়েছে সেগুলা ব্যবহার করতে পারেন। ভাড়া নিবে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। এগুলাতে গেলেই ভাল হয়। গাড়ির মান এবং সার্ভিস অনেক ভাল। এরা ভিআইপি সুবিধা পায় তাই রাস্তায় এবং ফেরিতে বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকে। জ্যাম থাকলে উল্টা পথে চলে যায়, পুলিশ কিছু বলেনা। এদের জন্য আলাদা ফেরি রয়েছে।
বর্ডারে ইমিগ্রেশনে এদের লোকজন সব কিছু করে দেয়। বাসগুলো নামাবে একেবারে কলকাতা নিউমার্কেট সংলগ্ন মারকুইস স্ট্রিটে। রাতে রওনা করলে দুপুরের মাঝেই চলে আসবেন কলকাতা। এর মাঝে দুই বর্ডারে ইমিগ্রেশন করতে ১-২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। আর কম খরচে যেতে চাইলে যেকোন বাসে বেনাপোল যেয়ে, ঐখান থেকে অটোতে বনগাঁ রেলস্টেশন, পরে ২০ রুপির টিকেট কেটে চলে যাবেন কলকাতা।
এবার মূল ভ্রমণে আসি
অনেক দিন থেকেই কলকাতা যাবার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু সময় সুযোগ মিলিয়ে আর হয়ে উঠছিলনা। অতঃপর হটাৎ করেই প্ল্যান করে ফেলি অগাস্ট ১৪, ২০১৮ কলকাতা যাব। প্লেনের টিকেট ম্যানেজ করতে না পেরে সড়ক পথেই যাব সিদ্দান্ত নেই। কিন্তু দিনে অফিস থাকায় ট্রেনে যাবার চিন্তা বাদ দিয়ে রয়েল কোচ এর বিজিনেস ক্লাসের টিকেট কাটি। ভাড়া নিল ২০০০ টাকা।
গাড়ি ছাড়বে রাত ১১:৪৫ এ । ১১:৩০ এ চলে আসি কল্যাণপুর কাউন্টারে। জ্যাম থাকায় গাড়ি আসতে একটু দেরি হল। রাট ১২ টায় কল্যাণপুর থেকে গাড়ি ছেড়ে দিল কলকাতার উদ্দেশ্যে। এক সপ্তাহ পরেই কুরবানীর ঈদ, তাই গাবতলী পার হতে সময় লেগে গেল। রয়েল এর গাড়িগুলো বেশ ভাল, ২/১ সিটের হুন্দাই বাস, সিট গুলো বেশ আরামদায়ক এবং সামনে বেশ জায়গা রয়েছে। সাই সাই করে গাড়ি এগিয়ে চলল।
পাটুরিয়া ফেরি ঘাট
সকাল ৫ তার দিকে গাড়ি চলে আসল পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। ভিআইপি সুবিধা পাওয়ার অন্য গাড়ি গুলোকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি উঠে পড়ল ফেরিতে। আমি এর আগে কখনো এই দিকে আসি নাই। তাই বাস থেকে নেমে ফেরিটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। ফেরিটা বেশ বড়, ৪ তলা। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাই আর ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি। টয়লেট, খাবারের দোকান সব কিছুই রয়েছে ভিতরে। তবে নিরুপায় না হলে এখানে খাওয়া দাওয়া না করাই উত্তম।
আমি শুধু চিপস কিনে নিলাম, খাওয়ার সময় দেখি ড্যাম। সব সময় নদীতে থাকার কারণে এমনটা হতে পারে। উপর থেকে পাটুরিয়া ঘাট ভাল মতো দেখা যাচ্ছিল। অনেক বড় পাটুরিয়া ঘাট, অনেক গুলো পয়েন্ট রয়েছে ফেরি ভেড়ানোর জন্য, যেখানে এক সাথে অনেকগুলো ফেরি লোড-আনলোড করতে পারে। পদ্মা নদীতে সকালের সূর্যোদয় বেশ ভালো লাগল। বেশ কিছুক্ষন পরে আমরা চলে আসলাম দৌলতদিয়া ঘটে।
ফেরি থেকে নেমে গাড়ি আবার এগিয়ে চলল। যশোর পর্যন্ত রাস্তা মোটামোটি ভালোই। তবে এর পর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত খুবই খারাপ। ভালো গাড়ি হওয়া সত্তেও ঝাকুনি টের পাচ্ছিলাম। নরমাল গাড়িতে গেলে কি অবস্থা হয় সহজেই বুঝতে পারছি।
যশোর-বেনাপোল সড়কেই দেখা মিলল সেই শতবর্ষী পুরানো গাছগুলোর। প্রাচীন রেইনট্রি, শিশু ও কড়ই গাছ গুলো খুবই সুন্দর আর মূল্যবান। রাস্তার দুই পাশে বিশাল বিশাল গাছ সারি বদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের ডালপালা এসে আকাশ ঢেকে দিচ্ছে। এ দৃশ্য খুবই চমৎকার। প্লেনে আসলে এটা দেখা যেতনা। কেবল সড়ক পথে কলকাতা ভ্রমণ করলেই দেখা যায়।
বেনাপোল স্থলবন্দর
বেনাপোল ছোট এক শহর যা, যশোর জেলার, শার্শা উপজেলায় অবস্থিত। বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের দিকের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত, যা পশ্চিম বাংলার বনগাঁ জেলার অন্তর্ভুক্ত। এই সীমান্তবর্তী স্থানেই বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর।
বাংলাদেশ-ভারতের স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে এটি ব্যবহৃত হয়। মোট স্থলবাণিজ্যের ৯০% এই বেনাপোলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। এখান দিয়েই সব থেকে বেশি লোক বাংলাদেশ-ভারতে চলাচল করে। বেনাপোল হতে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার।
বাস কাউন্টার এ সুবিধা
সকাল দশটায় গাড়ি চলে আসল বেনাপোল স্থল বন্দরে। গাড়ি রয়েল এর কাউন্টারের সামনেই এসে থামে। গাড়ি থেকে নেমে চলে যাই কাউন্টারে। কাউন্টের লোকের কাছে পাসপোর্ট আর ট্রাভেল ট্যাক্স এর টাকা দিয়ে দিলাম। আপনারা ভুলেও অন্য লোকের কাছে নিজের পাসপোর্ট দিবেন না। আসে পাশে প্রচুর দালাল রয়েছে। সাবধানে থাকবেন।
কাউন্টারের ভিতরে টয়লেট এবং ফ্রেশ হবার ব্যবস্থা রয়েছে। ফ্রেশ হয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। আসে পাশে প্রচুর খাবারের দোকান রয়েছে। চাইলে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনে নিতে পারেন। এখানে একটা ফার্মেসি আছে। আমি কিছু ঔষধ কিনে নিলাম। আপনারা সাথে দরকারি ঔষধ যেমন প্যারাসিটামল, খাবার সেলাইন, গ্যাসের ট্যাবলেট কিনে নিতে পারেন। ভারতে আমাদের মতো যেখানে সেখানে ঔষধের দোকান নাই, আর প্রেসক্রিপশন ছাড়া কেনা কঠিন।
অল্প কিছুক্ষনের মাঝেই কাউন্টারে লোকজন হাতে পাসপোর্ট, ট্রাভেল ট্যাক্স এর কাগজ ধরাইয়া দিল। দেখি পাসপোর্টে কাষ্টমস এর সিল মারা রয়েছে। বললো এবার চলে যান সামনে, ইমিগ্রেশন শেষ করে ভারতে ঢুকে পরেন। সামনেই আমাদের অন্য বাস অপেক্ষা করছে। আপনাদের মালামাল চলে যাবে। আমরাও সামনে হাটা দিলাম।
ইমিগ্রেশন
বর্ডারে দুই বার ইমিগ্রেশন এবং কাস্টম চেক হয়। একবার বাংলাদেশে আরেক বার ভারতে। বাংলাদেশে কাস্টমস চেক করার সময় ব্যাগ খুলে চেক করে। সাথে কি কি জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন ওনারা দেখে। সাথে আমেরিকান ডলার ছাড়া অন্য কোনো মুদ্রা আছে কিনা চেক করে। অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলা করে।
একমাত্র আমেরিকান ডলার ছাড়া বিদেশে অন্য কোনো মুদ্রা নিয়ে যাওয়া যায়না। তাই আগে থেকেই ডলার সাথে নিয়ে নিবেন। তবে আপনার সাথে যদি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে সব দিক থেকে ভালো, জিজ্ঞেস করলেই বলবেন আমি সব খরচ কার্ডে করব। তাহলে আর কিছু বলবেনা।
তবে আপনে যদি ডলার না নিয়ে বাংলাদেশী টাকা নিয়ে যেতে চান তাহলে মানিব্যাগে ৫-৬ হাজার টাকা বাদে সব টাকা ব্যাগের এমন জায়গার লুকিয়ে ফেলুন যাতে আপনে ছাড়া আর কেউ খুঁজে না পায়। আর জিজ্ঞেস করলেই বলবেন ফেরত আসার সময় বাসায় ফিরে যাবার মতো কিছু টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা নাই।
তবে ১০০ টাকা দিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে। তাই সাথে ৫০, ১০০ টাকার বেশ কিছু নোট রাখবেন। বর্ডারে রুপি, বাংলাদেশী টাকা সবই চলে। ইমিগ্রেশনের সময় পাসপোর্ট দেখে, এন্ট্রি করে সিল মেরে দেয়।
রয়েলের যাত্রী হবার সুবাধে বাংলাদেশে আমাদের কাস্টমস চেক হয় নাই। ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে গিয়ে পাসপোর্ট দিলাম, ওনি এন্ট্রি করে, ছবি তোলে ডিপার্চার সিল মেরে দিল। গেটেই দেখি বাংলাদেশী কুলিরা আমার ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। টোকেন দেখিয়ে ব্যাগ নিয়ে নিলাম। এর পরে এদের আর যাবার অনুমতি নাই। তাই নিজেকেই নিজের ব্যাগ নিয়ে যেতে হয়।
ভারতের মাটিতে প্রথম পা ফেলা
হেটে হেটে প্রবেশ করলাম ভারতে। ভারতের মাটিতে পা দিয়েই দেশের কথা মনে পরে গেল। দেশের প্রতি এক ধরণের টান অনুভব করলাম। একমাত্র স্থলপথে বিদেশে গেলেই এই অনুভুতিটা হয়।
ভারতে যেয়েই দেখি ইমিগ্রেশনের বিশাল লাইন। ১০০ টাকা কুলিকে দিয়ে দিলাম। সে এদিক সেদিক করে আমাদের সোজা নিয়ে গেলো ভারতীয় কাস্টমস এর সামনে। না হলে বেশ কিছুক্ষন লাইনে দাঁড়ানো লাগে। সেখানেও ১০০ টাকা দিয়ে দিলাম। ঝামেলা করলোনা। ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে গিয়ে পাসপোর্ট দিলাম, একটা ফর্ম দিলো, পূরণ করে দিলাম। পাসপোর্টে এন্ট্রি সিল মেরে হাতে দিয়ে দিল।
অনেক সময় কোথায় থাকব, কি করব, হোটেল বুকিং আছে কিনা জিজ্ঞেস করে। তাই অনলাইনে আগে থেকেই একটা বুকিং দিয়ে তার প্রিন্ট কপি সাথে নিয়ে নিবেন। খুব সোজা Booking.com গিয়ে পছন্দ মতো হোটেল সিলেক্ট করে বুকিং করে ফেলেন। আপনার মেইলে তারা একটা কপি পাঠিয়ে দিবে। ওটা প্রিন্ট করে দরকার না হলে আবার বাতিল করে দেন। এখানে কোনো ক্রেডিট কার্ড দেয়া লাগেনা।
ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ
ইমিগ্রেশন অফিস থেকে বের হতেই দেখি রয়েলের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমাদের পেট্রাপোলে তাদের কাউন্টারে নিয়ে গেল। সেখানে টিকেট জমা দিলাম, তারা আরেকটা টিকেট দিয়ে দিল। সামনেই গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল, ব্যাগ দিয়ে দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম গাড়ি কখন ছাড়বে। দেখি হাতে কিছু সময় আছে। তাই চললাম টাকাকে রুপিতে কনভার্ট করতে।
ভারতে পৌঁছে প্রথমেই যা করণীয়
কাউন্টারের ভিতরেই টাকা কনভার্ট করার দোকান রয়েছে। কত রেইট দিচ্ছে জিজ্ঞেস করে বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরেও অনেকগুলো দোকান আছে। সব গুলায় জিজ্ঞেস করে যেটায় বেশি রেইট দিল সেখান থেকে ৫ হাজার টাকা কনভার্ট করে নিলাম। আপনারাও বেশ কটায় জিজ্ঞেস করে তার পর কনভার্ট করবেন। অনেক সময় কাউন্টারের লোকেরা প্রেসার দেয়, পাত্তা দিবেন না। আর সব টাকা এখানে কনভার্ট করবেন না। এখান থেকে কলকাতায় ভাল রেইট পাওয়া যায়।
ভারতের সাথে আমাদের ৩০ মিনিট সময়ের পার্থক্য রয়েছে। তারা আমাদের থেকে ৩০ মিনিট পিছনে। তাই ঘড়ির কাটা ৩০ মিনিট কমিয়ে দেই। এর পর চলে গেলাম এক রেস্টুরেন্টে। সেখানে ভারতীয় খাবার দিয়ে নাস্তা করলাম। মেয়ের জন্য চকলেট, কোক কিনে নিলাম। ভারতে এগুলা বেশ সস্তা। আপনারাও সড়ক পথে কলকাতা ভ্রমণ করলে প্রথমেই অল্প কিছু টাকা রুপি তে কনভার্ট করে নিবেন, সময় ঠিক করে নিবেন।
বেনাপোল থেকে কলকাতা
এর পরে গাড়িতে গিয়ে উঠলাম। ১১: ৪০ এর দিকে গাড়ি ছেড়ে দিলো কলকাতার উদ্দেশে। প্রায় দুই ঘন্টা পর বামন গাছি নামক জায়গায় হোটেল অবকাশে গাড়ি থামল দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য। সেখানে ভাত, মুরগির মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। দুজনের বিল আসল ৩০০ রুপির মত। আবার চললাম কলকাতার উদ্দেশ্যে।
দুপুর ৩ তার দিকে আমাদের গাড়ি চলে আসল কলকাতার মারকুইস স্ট্রিটে। বাংলাদেশ থেকে আসা সব গাড়িই এখানে এসে থামে। গাড়ি থেকে নেমে টোকেন দেখিয়ে ব্যাগ নিয়ে চললাম আমার হোটেলের দিকে।
আর এভাবেই শেষ হলো আমার সড়ক পথে কলকাতা ভ্রমণ এর প্রথম পর্ব। অন্য পর্ব গুলোও দেখে নিতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে:
- পর্ব ২: কলকাতায় কোথায় থাকবেন, কি খাবেন
- পর্ব ৩: কলকাতায় কোথায় কেনাকাটা করবেন
- পর্ব ৪: কলকাতায় কোথায় ঘুরাঘুরি করবেন
সময়ে নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আশা করি খুব উপভোগ করেছেন। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনার কেমন লাগলো তা কমেন্টস করে জানালে ভালো হয়। আর ভালো লেগে থাকলে ওয়ালে শেয়ার করে বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।