ক্রিসেন্ট লেক (Crescent Lake) আকারে অনেকটা বাঁকা চাঁদের মতো। তাই এই লেকের নামকরণ হয়েছে ক্রিসেন্ট লেক। এর দৈর্ঘ্য ৬৫০ মিটার। চারপাশে প্রচুর গাছপালা থাকার কারণে এই লেকের পরিবেশ অত্যান্ত মনোরম। তাই প্রতিদিন প্রচুর দর্শণার্থী এখানে সময় কাটাতে চলে আসেন।
ক্রিসেন্ট লেক কোথায় অবস্থিত
ক্রিসেন্ট লেক বাংলাদেশের ঢাকা শহরের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত। সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে লেক রোড। যা পূর্ব দিকে বিজয় সরণি থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে গণ ভবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে মিশেছে। এই লেক রোডের দক্ষিণ পাশে সংসদ ভবন এবং উত্তর পাশে ক্রিসেন্ট লেক। লেকের উত্তর পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান বা জিয়া উদ্যান।
ক্রিসেন্ট লেক কিভাবে যাবেন
দেশের যেকোনো জায়গা থেকে চলে আসুন ঢাকার ফার্ম গেট। ফার্ম গেট থেকে রিকশা নিয়ে চলে যাবেন ক্রিসেন্ট লেক বা চন্দ্রিমা উদ্যান। উত্তরা বা মিরপুর থেকে ফার্ম গেট বা নিউ মার্কেট গামী বাসে উঠে বিজয় সরণি নেমে হেঁটেই চলে যেতে পারেন ক্রিসেন্ট লেক। গাবতলী গামী বাসে উঠে গণ ভবনের সিগনালে নেমেও চলে যেতে পারেন ক্রিসেন্ট লেক।
কেন যাবেন
লেকের দক্ষিণ পাশে দর্শণার্থীদের বসার জন্য চমৎকার ভাবে সিঁঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। পা ঝুলিয়ে বসার জন্য লেকের দুই পাশেই সুন্দর ব্যবস্থা আছে। লেকের উত্তর পাশে চন্দ্রিমা উদ্যান। যেখানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধি আছে। সমাধিতে যাওয়ার জন্য ক্রিসেন্ট লেকের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। ঝুলন্ত সেতুর দুই পাশে দুটি ফোয়ারা রয়েছে। যা সন্ধ্যার পর চালু করা হয়। তখন এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য উপভোগ করতে
ক্রিসেন্ট লেকের দুই পাশে প্রচুর কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। এপ্রিল-জুন মাসে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে। তখন সবুজ প্রকৃতি কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলে রঙিন হয়ে উঠে। তাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন বয়সের নারী এবং পুরুষ এখানে ছুটে আসেন। ঢাকায় কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখার জন্য এই জায়গাটি খুবই উপযুক্ত।
তাই হাতে সময় থাকলে পরিবার বা বন্ধু বান্ধব নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ক্রিসেন্ট লেক।
কি খাবেন
এখানে ফুসকা, বাদাম, চা, কফি, পানি, সফ্ট ড্রিঙ্কস, আইক্রিম, চিপস, ঝালমুড়ি ইত্যাদি হালকা খাবার পাওয়া যায়। তবে দাম একটু বেশি থাকে।
সতর্কতা
লেকের সাথে সংসদ ভবন এবং প্রধান মন্ত্রীর বাসভবন হবার কারণে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক মজবুত। ভিআইপি মুভমেন্ট এর কারণে অনেক সময় লেক রোড বন্ধ থাকে। এখানে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। সন্ধ্যার পর চন্দ্রিমা উদ্যানের ভিতরে থাকা যায় না। লেক রোডে কিছু কিছু জায়গায় ছবি তোলা, দাঁড়ানো, বসা নিষেধ। তাই এই বিষয় গুলো বিবেচনায় রাখবেন।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।