সিকিমের সব থেকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় এলাকা নর্থ সিকিম। গুরুত্বপূর্ণ সব ট্যুরিস্ট স্পট গুলো এখানেই অবস্থিত। ঝর্ণা, উপত্যকা, পর্বতমালা মিলিয়ে নর্থ সিকিমি যেন একটুকরো স্বর্গ। আজ আমি গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। এই পথ বেশ রোমাঞ্চকর এবং অ্যাডভেঞ্চার এ পরিপূর্ণ। এই যাত্রাপথে আমি একসাথে অনেক ঝর্ণা এবং পাহাড় দেখেছি, যা এর আগে দেখিনাই।
গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম যাবার প্রস্তুতি
গ্যাংটকে আজকে আমাদের তৃতীয় দিন। আজ আমরা গ্যাংটক থেকে গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম যাব। গতকাল রাতেই আমরা নর্থ সিকিম যাবার প্যাকেজ ঠিক করে রেখেছিলাম। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল করে রেডি হয়ে গেলাম। বাচ্চাদেরও গোসল করলাম। কেননা নর্থ সিকিমে প্রচুর ঠান্ডা এবং গ্যাংটকের মতো হোটেলে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। তাই গোসল করা অসম্ভব হতে পারে।
নর্থ সিকিকে ১ রাত ২ দিন থাকার হিসাব করে পর্যাপ্ত শীতের কাপড়, পানির পট একটা আলাদা ছোট ব্যাগে নিয়ে বাকি কাপড় এবং জিনিসপত্র লাগেজে ঢুকিয়ে দিলাম। এই লাগেজ গ্যাংটকে হোটেলে রেখে যাবো। যেহেতু লাচুং থেকে ফিরে অন্য হোটেলে উঠবো তাই শ্যারোলিন বুটিক হোটেলে পেমেন্ট পরিশোধ করে হেটে শরীফ ভাইদের ‘হোটেল স্যুভেনির রেসিডেন্সি’ তে চলে গেলাম।
স্যুভেনির রেসিডেন্সি হোটেলের রুম দেখে পছন্দ হলো তাই কিছু এডভান্স করে ১৪ তারিখের জন্য বুকিং দিয়ে দিলাম। এখানে ডাবল বেডের ১ রুমের ভাড়া নিলো ১,৪০০ রুপি। লাচুং থেকে ফিরতে অনেক সময় রাত হয়ে যায়। তাই যাবার আগেই হোটেল বুক করে যাওয়া ভালো। হোটেলে লাগেজ রেখে পাশেই একটি বাঙালি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে চলে গেলাম।
গ্যাংটকে বাঙালি রেস্টুরেন্ট
গ্যাংটকে অনেক গুলো বাঙালি রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা আমাদের হোটেলের পাশে টাইবেট রোডে ‘আপনা পছন্দ ধাবা’ (Apna Pasand Dhaba) রেস্টিরেন্টে প্রতিদিন খাবার খেতাম। এখানকার খাবারগুলো মোটামোটি আমাদের মতো। দামেও সস্তা। এখানে প্রতিবেলায় কলকাতার লোকজনের দেখা পেতাম। খাবার খেতে খেতে উনাদের সাথে আড্ডা দিতাম। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে উনারাও নানান গল্প করতো।
টিমের সবাইকে রেডি হয়ে এখানে চলে আসতে বলেছিলাম। আমরা এসে দেখি সবাই ইতিমধ্যে চলে এসেছে। সবাই মিলে এখানে পরোটা, সবজি, ডিম ভাজি দিয়ে সকালের নাস্তা করে নিলাম।
ভজরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড
গ্যাংটকের আবহাওয়া আজ খুবই চমৎকার। রোদের আলোতে পুরো এম জি মার্গ ঝলমল করছে। হেটে যেতে যেতে পটাপট কিছু ছবি তুলে নিলাম। এজেন্সিতে গিয়ে শুনি আমাদের পারমিশন হতে আরো কিছু সময় লাগবে। উনারা আমাদের ভজরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চলে যেতে বললো। ২ টা ট্যাক্সি নিয়ে সবাই চলে গেলাম ভজরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড। ভাড়া নিলো প্রতি ট্যাক্সি ২০০ রুপি।
সকাল ১০:৩০ মিনিটের দিকে আমরা চলে আসলাম ভজরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড (Vajra Taxi Stand)। ভজরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকেই নর্থ সিকিম, সাঙ্গু লেক যাবার গাড়ি ছাড়ে। এখানে বসার জন্য চেয়ার টেবিল এবং টয়লেট আছে। বসে বসে অপেক্ষা করতে খুবই বোরিং লাগছিলো। কেবল আমরাই নয় অনেক পর্যটকও গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। অথচ সকাল ১০ টায় গাড়ি ছাড়ার কথা।
প্রায় ১ ঘন্টা পর এজেন্সির লোক এসে জানালো আমাদের গাড়ির রেডি। উনাকে বাকি পেমেন্ট দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। ট্রাইভার সবার ব্যাগ গাড়ির ছাদে রেখে ভালো করে রশি দিয়ে বেঁধে দিলো। কিন্তু আজ গাড়ির অনেক প্রেসার থাকায় স্ট্যান্ড থেকে আমাদের গাড়ি বের হতে বেশ সময় লেগে গেলো।
গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম যাত্রাপথে যা দেখলাম
আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে গাড়ি এগিয়ে যেতে থাকলো। আজ আমরা উপরের দিকে যাবো। গন্তব্য লাচুং শহর। লাচুং এর উচ্চতা ৮,৯০০ ফুট। গ্যাংটক থেকে লাচুং এর দুরুত্ব প্রায় ১২৬ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘন্টা। এই পথ খুবই সুন্দর। যেতে যেতে আমরা বেশ কয়েকটি স্পটে থামবো এবং ভিজিট করবো।
কিছুক্ষন চলার পর আমার বড় মেয়ে বমি করতে থাকে। বুজতে পারলাম অধিক উচ্চতার কারণে ওর একিউট মাউন্টেইন সিকনেস দেখা দিয়েছে। দেশ থেকে সাথে করে বমির ট্যাবলেট নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু সব কিছু গাড়ির ছাদে। কাছাকাছি এক পেট্রোল পাম্পে গাড়ি থামিয়ে ওকে ট্যাবলেট খাইয়ে দিলাম। আমরাও সবাই খেয়ে নিলাম।
সেভেন সিস্টার্স ওয়াটার ফলস
অনেক্ষন চলার পর গাড়ি একটি ঝর্ণার সামনে এসে থামে। এর নাম সেভেন সিস্টার্স ওয়াটার ফলস (Seven Sister Waterfall)। ঝর্ণাটি দেখতে খুবই সুন্দর। এখানে মোট ৭ টি লেয়ার আছে। শীতকাল হবার পরেও ঝর্ণায় প্রচুর পানি ছিল। অনেক উঁচু থেকে পানি নিচের দিকে নেমে আসছে। গ্যাংটক-লাচুং হাইওয়ের সাথেই এর অবস্থান। গ্যাংটক শহর থেকে এর দুরুত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার।
নিচে নামার জন্য সিঁড়ি বানানো আছে। মেয়েদের জন্য আমরা খুব বেশি নিচে নামতে পারিনাই। তবে অনেক ছবি তুলেছি। সাথে একটি পুরাতন ব্রিজ আছে। ব্রিজে নানারকম কালারফুল ফ্ল্যাগ লাগানো আছে। সব মিলিয়ে জায়গাটা দারুন। এখানে হালকা খাবার কিনতে পাওয়া যায়।
দুপুরের খাবার
ঝর্ণা দেখে আমরা আবার চলা শুরু করলাম। কিন্তু পথ যেন আর শেষ হয়না। এইদিকে ক্ষুদায় পেট চোঁচোঁ করছে। অবশেষে ৩:৪৫ এ রাংরাং (Rang Rang) এলাকায় বাবা আরিয়ান হোটেলের (Baba Aryan hotel) সামনে এসে থামি। এখানেই আমরা লাঞ্চ করবো। এটি প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আজ এখানে প্রচন্ড ভীড়। লাচুংগামী প্রচুর গাড়ি এসে থেমেছে। সবাই লাঞ্চ করবে। কিন্তু ভিতরে বসা তো দূরের কথা দাঁড়ানোরই জায়গা নেই। আমরা বাহিরে অপেক্ষা করতে থাকি।
এখানে ২/৩ টি টয়লেট আছে। তবে অবস্থা একেবারে যা তা। ভিতরে লাইট নেই। মোবাইলের আলোতেই কাজ সারলাম। হাত ধোঁয়ার বেসিনে সাবান নেই। পুরাই আদিম আদিম ভাবসাব। অবশ্য বেশি লোকের কারণে এমনটা হতে পারে। অবশেষে প্রায় ৩০ মিনিট পর আমাদের খাবারের সিরিয়াল আসলো। ডিমের তরকারি, ভাজি, ভর্তা এবং ডাল দিয়ে ভাত খেলাম। ক্ষুদা বেশি লাগার কারণে সবাই একটু বেশি খেয়ে ফেললাম।
এখানে প্রচুর চকলেট সহ অন্যান্য খাবার পাওয়া যায়। আমি বাচ্চাদের জন্য বেশ কিছু চকলেট, বিস্কুট এবং কোক কিনে নিলাম। ৪:৩০ মিনিটের দিকে আমরা আবার চলা শুরু করি।
নাগা ফলস
বিকাল ৫:৪০ এর দিকে আমরা নাগা ফলস (Naga Falls) এ এসে থামি। এই ঝর্ণাটিও হাইওয়ের পাশে অবস্থিত। এটি আকারে বেশ বড় এবং দেখতে খুবই সুন্দর। আমরা প্রচুর ছবি তুললাম। আমি একটু নিচের দিকে নেমে বিশাল বিশাল পাথরের কাছে চলে গেলাম। এখানে পানির প্রবাহ অনেক বেশি। পানি খুবই ঠান্ডা। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে দেখে আর দেরি না করে আমরা আবার চলা শুরু করলাম।
টুং চেক পোস্ট
সন্ধ্যা ৬:২০ এর দিকে গাড়ি চুংথাম এলাকার টুং চেক পোস্টে (Tung Check Post) থামে। লাচুং ঢুকার আগে এখানে ফাইনাল চেক করা হয়। ড্রাইভার বলে দিলো গাড়িতে কোনো প্লাস্টিক বোতল থাকলে ফেলে দিন। এখান থেকে কোনো ধরণের প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে সামনে যাওয়া যায়না। পাওয়া গেলে জরিমানা দিতে হবে।
ড্রাইভার চলে গেলো পার্মিশনের কপি নিয়ে চেক পোস্টে। আর আমি গাড়িতে খুঁজে খুঁজে সব প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসলাম। এখানে খুব বেশি সময় লাগলোনা। আমরা আবার চলা শুরু করলাম।
থ্যাং টানেল
চারদিক মোটামোটি অন্ধকার হয়ে গেছে। অন্ধকারে পাহাড়ি পথ ধরে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলছে। প্রায় ১৫\২০ মিনিট চলার পর আমরা একটা টানেলে প্রবেশ করি। এর নাম থ্যাং টানেল (Theng Tunnel)। এটি সিকিমের দীর্ঘতম টানেল। এর দৈর্ঘ্য প্রায় 600 মিটার। ২০১৮ সালে এটি চালু করা হয়। একটু সরু হলেও এখানে ডাবল লাইনে একটা নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চলে। পাহাড়ের পাথর কেটে খুব সাদামাটা ভাবে এটি বানানো হয়েছে। দেখে একটা ন্যাচারাল ন্যাচারাল ভাব অনুভব করলাম। তবে ভিতরে আলোর ব্যবস্থা আছে। আমি মোবাইল দিয়ে পুরোটা ভিডিও করলাম।
লাচুং এ আমাদের হোটেল
রাত হয়ে যাবার কারণে আমরা তিস্তা ড্যাম এবং বচ্চন ফলস এ আর থামি নাই। ফিরার পথে এই দুইটা দেখে নিবো। তাই সরাসরি হোটেলের দিকে যেতে থাকলাম। রাত ৮ টায় আমরা হোটেলে পৌঁছাই। আমাদের হোটেলের নাম হোটেল গোল্ডেন ভ্যালি (Hotel Golden Valley)। এটি মাঝারি মানের হোটেল যা ট্রাভেল এজেন্সি ঠিক করেছে। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই ঠান্ডায় একদম জমে যাবার মতো অবস্থা হলো।
তাড়াতাড়ি হোটেলে চেকইন করে নিলাম। দেরিতে আসায় আমরা খুব একটা ভালো মানের রুম পেলাম না। তবে রুমে চা, কফি এবং টয়লেটে গিজারের ব্যবস্থা ছিল। হোটেল বয় এসে বললো আপনারা তাড়াতাড়ি ডাইনিং এ চলে আসুন। অনেকটা জাপানিজ স্টাইলের ডাইনিং টেবিলে বসে মুরগি, সবজি, ডাল আর ভাত দিয়ে ডিনার করলাম। খাবারের স্বাদ মোটামোটি ভালোই ছিল। তবে ডাল একটু তিতা তিতা মনে হলো। ডাইনিং রুমে খাওয়ার জন্য গরম পানি ছিল। খাবার শেষে পানির পটে আমি আরো গরম পানি নিয়ে রুমে ফিরে আসি।
গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম যাত্রাপথের অনুভূতি
গ্যাংটক-লাচুং হাইওয়ে ধরে পথ চলতে বেশ ভালোই লাগছিলো। কেবল আঁকাবাঁকা জায়গায় টার্নিং নেয়ার সময় একটু খারাপ লাগতো। এই পথ অসাধারণ সুন্দর। দুইপাশে উঁচু উঁচু পাহাড়। চারপাশ সবুজ গাছপালায় পরিপূর্ণ। মাঝে মধ্যে দূরে সবুজের মাঝে ছোট ছোট সাদা পানির ঝর্ণা। অনেক দূর পর পর ২/১টি বাড়িঘর। পাহাড়ি পথ ধরে স্কুল ড্রেস পরে বাচ্চাদের দলবেঁধে পথ চলা। সব মিলিয়ে এ যেন এক অন্য জগৎ।
এই পথ যেমন সুন্দর, তেমনি ভয়ংকর। বেশ কিছু জায়গায় পাহাড় ধসে পড়েছে। বড় বড় পাথর রাস্তায় এসে পরে আছে। সড়ক কতৃপক্ষ পাথর সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। উপরের দিকে তাকালে যখন দেখি বিশাল আকারের পাথর ঝুলে আছে, আর যেকোন সময় ধসে পড়তে পারে তখন বুকের ভিতর কাঁপুনি লাগে। তবে বৃষ্টি হলে সাধারণত পাহাড় ধস হয়।
রাতের বিড়ম্বনা
অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সবার ঠোঁট শুকিয়ে ফেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু দেশ থেকে আনা লিফজেল গ্যাংটক রেখে এসেছি। হোটেলের বাহিরে আমি একটা টং এর দোকান দেখেছিলাম। তাই ভাবলাম গিয়ে একটা লিফজেল কিনে আনি। কিন্তু গিয়ে দেখি দোকান বন্ধ। আমাকে বাহিরে দাঁড়ানো দেখে এক ইন্ডিয়ান বললো, দোকান খোলা আছে। আমার সাথে আসুন। চিপা দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেই আমার মাথায় হাত। এটি কোনো মুদি দোকান না। লাল পানির দোকান।
১/২ মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে যখন চলে আসছি, দোকানের মালিক বলে সব ধরণের আইটেম আছে। কোনটা লাগবে বলুন। রুমে অন্যদের সাথে কথা বলে আসছি বলে সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম। কিছুক্ষন আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে লাচুং শহর সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মারাত্মক ঠান্ডা এবং বাতাসের কারণে রুমে ফিরে গেলাম।
অক্সিজেন সল্পতার কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এটি দেশে থাকতেই ওয়াইফ কে বলেছিলাম। কিন্তু তার পরেও ছোট একটা বেপার নিয়ে ওর সাথে কথাকাটাই হয়ে শুরু হয়ে যায়। পরে বুজতে পরে আবার নরমাল হয়। একিউট মাউন্টেইন সিকনেস এর কারণে এমনটি হতে পারে।
রুম হিটার না থাকার কারণে রুমের ভিতরেও মারাত্মক ঠান্ডা অনুভব করলাম। সবাই ডাবল ডাবল জামা কাপড়ে পরে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে আমরা ইয়ুমথাং ভ্যালি এবং জিরো পয়েন্ট যাবো।
গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম ভ্রমণ নিয়ে কিছু পরামর্শ
- একিউট মাউন্টেইন সিকনেস এর বেপারে সতর্ক থাকুন।
- ঝর্ণায় পাথর খুব পিচ্ছিল থাকে। তাই নামার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- সাথে কিছু হালকা খাবার রাখুন।
- নর্থ সিকিমে পাস্টিক নিষিদ্ধ। তাই পানির পট ব্যবহার করুন।
- যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না।
- নর্থ সিকিমে মারাত্মক ঠান্ডা। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে শীতের কাপড় সাথে রাখুন।
- সাথে বাচ্চা থাকলে অতিরিক্ত খেয়াল রাখুন।
সিকিম ভ্রমণের গল্প
আমার গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। সিকিম ভ্রমণের আরো অভিজ্ঞতা জানতে বাকি পর্ব গুলো দেখে নিতে পারেন। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
- পর্ব ১: ঢাকা থেকে গ্যাংটক
- পর্ব ২: গ্যাংটক শহর ভ্রমণ
- পর্ব ৩: নর্থ সিকিম ভ্রমণ প্যাকেজ
- পর্ব ৫: ইয়ুমথাং ভ্যালি এবং জিরো পয়েন্ট
- পর্ব ৬: ছাঙ্গু লেক ভ্রমণ
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।