করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। মারা-ও যাচ্ছে প্রচুর। তাই এই সময়ে ভ্রমণ মোটেও নিরাপদ নয়। তবুও এই সময়ে জরুরী কাজে বাহিরে যেতে বা ভ্রমণ করতে হলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানো যায়। আসুন যেনে নেই করোনার ঝুঁকি এড়াতে ভ্রমণে কি কি সতর্কতা নিতে হবে।
করোনার ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ ভ্রমণ
- ট্রাভেল এর সময় যত কম জিনিসপত্র সাথে নেয়া যায় সেই দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
- সব জিনিসপত্র ব্যাগে ঢুকায়ে নিন, যাতে ভিতরকার জিনিসপত্র নিরাপদ থাকে।
- জীবাণু নাশক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাথে রাখুন।
- মুখে ভালো মানের মাস্ক, হাতে হ্যান্ড গ্লাভস এবং চোখে চশমা অবশ্যই ব্যবহার করুন।
- সংক্রমণ রোধে যে কোনো ধরণের যানবাহন (বাস, ট্রেন, লঞ্চ, প্লেন ইত্যাদি) ব্যবহার করার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
- যানবাহনে উঠেই সিট জীবাণু মুক্ত করে ফেলুন।
- যানবাহনের ভিতরে একান্তই দরকার না হলে টয়লেট ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
- যানবাহনের ভিতরে প্রয়োজন ছাড়া কোনো কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
- বাহিরের খাবার খাওয়া যথা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে সাথে বাসায় তৈরী খাবার বহন করুন।
- হাত দিয়ে নিজের মুখ স্পর্শ করবেন না এবং প্রয়োজন ছাড়া মুখ থেকে মাস্ক খুলবেন না।
- যানবাহন থেকে নেমে সাথে সাথে নিজের হাত, মুখ এবং সাথে থাকা ব্যাগ জীবাণু মুক্ত করে ফেলুন। ফেলুন।
- নিজের বা দলের সদস্যদের কারো জ্বর-কাশি থাকলে ভ্রমণ বাতিলের চেষ্টা করুন। ভ্রমণের সময় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
- পশুপাখি সাথে নিয়ে ভ্রমণ না করাই উত্তম।
- লাইনে দাঁড়াতে হলে নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
- ভ্রমণ শেষে ১৪ দিন সতর্ক থাকতে হবে। আইসোলেশনে থাকা ভালো। এ সময় লোকসমাগমে না যাওয়াই উত্তম।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।
