চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থান

ইনানী সমুদ্র সৈকত

Loading

নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
napittochara-trail-3
ইনানী বিচ
napittochara-trail-3
ইনানী বিচ
napittochara-trail-3
ইনানী বিচে সূর্যাস্ত
Shadow

কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, আকর্ষণীয় ও নয়নাভিরাম হচ্ছে ইনানী সমুদ্র সৈকত বা ইনানী বীচ (Inani Beach)। ইনানী বীচ থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক প্রবাল পাথর। এইসব পাথর একদিকে সমুদ্রের ভাঙ্গন থেকে সৈকতকে রক্ষা করে চলেছে। আবার দিয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য।

ইনানী বীচ কোথায় অবস্থিত

ইনানী বীচ বা ইনানী বিচ কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানকার প্রধান আকর্ষণ জীবন্ত প্রবল। অনেকটাই পাথরের মতো দেখতে এই প্ৰবাল গুলো খুবই সুন্দর। কক্সবাজারের মতো এখানে বড় বড় ঢেউ নেই। ছোট ছোট ঢেউ এসে আছড়ে পরে পাথরের উপর। পানির উপর ভাসমান এইসব পাথরের উপর দাঁড়িয়ে পা ভেজাতে দারুন মজা।

ইনানী বীচ কিভাবে যাবেন

ইনানী বীচ দেখতে হলে আপনাকে প্রথমেই আসতে হবে কক্সবাজার শহরে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার (Cox’s Bazar) বিভিন্ন উপায়ে আসা যায়। ঢাকা থেকে গ্রিন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, সোহাগ পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, এস.আলম পরিবহন, মডার্ন লাইন ইত্যাদি বাস প্রতিদিন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। শ্রেণী ভেদে বাসগুলোর প্রত্যেক সীটের ভাড়া ৯০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার পর্যন্ত।

ঢাকা থেকে ট্রেনে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চাইলে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা, সুবর্ন এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীথা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী ট্রেনে চট্রগ্রাম চলে আসতে পারেন। এরপর চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা অথবা ধামপাড়া বাস্ট স্ট্যান্ড থেকে হানিফ, এস আলম অথবা ইউনিক পরিবহনের বাসে কক্সবাজার আসতে পারবেন। বাস ভেদে ভাড়া ২৮০ থেকে ৫৫০ টাকা নিবে।

এছাড়া আকাশ পথেও কক্সবাজার আসা যায়। বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা এবং রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। আবার আকাশপথে প্রথমে চট্রগ্রাম এসেও সেখান থেকে সড়ক পথে কক্সবাজার যেতে পারবেন। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ভাড়া বিভিন্ন রকম। সাইটে দেখে নিতে পারেন।

সেখান থেকে মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে চলে যাবেন ইনানী বীচ। কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে ইনানী বীচ যাবার জন্য খোলা জীপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটো ইত্যাদি পাওয়া যায়। পছন্দ মতো দরদাম করে ভাড়া করে নিবেন। তবে খোলা জীপ বা চাঁন্দের গাড়িতে ঘুরেই বেশি মজা। ইনানী পর্যন্ত খোলা জীপ ভাড়া নিবে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ১০ ঠিক ১২ জন অনায়াসে যেতে পারবেন।

ইনানী কখন যাবেন

যেকোনো সময়েই ইনানী বীচ যাওয়া যায়। তবে সব থেকে ভালো হয় বিকালে গেলে। ওই সময় ভীড় একটু কম থাকে। আর ইনানী বীচ থেকে সূর্যাস্ত দেখতে দারুন লাগে।

কোথায় থাকবেন

এখন এই বীচের আশেপাশে কিছু হোটল ও রিসোর্ট আছে। তার মধ্যে রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট, ইনানী রয়াল রিসোর্ট, লা বেল্যা রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য। তবে এখান থেকে কক্সবাজার অনেক কাছে হওয়ায় এখানে না থেকে কক্সবাজার এসে কোন হোটেলে থাকাই ভালো হবে।

কক্সবাজারে প্রচুর হোটেল, মোটেল, কটেজ আছে। এদের মধ্যে সায়মন বিচ রিসোর্ট, মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সী গাল, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ, কক্স টুডে, হেরিটেজ, সী প্যালেস, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী ক্রাউন, ইউনি রিসোর্ট, উর্মি গেস্ট হাউজ, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট উল্লেখ্য। বিভিন্ন হোটেলের ভাড়া বিভিন্ন রকম। আপনার প্রয়োজন এবং বাজেট অনুসারে বেছে নিন।

কোথায় খাবেন

এই এলাকায় খাবারের জন্য ভালো মানের তেমন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট নাই। তাই কক্সবাজার এসে খেলেই সব থেকে ভালো। এখন কক্সবাজারে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। চাইলে এসব রেস্টুরেন্টের যেকোনো একটাতে খেয়ে নিতে পারেন। তাদের মধ্যে পৌষি, ধানসিঁড়ি, রোদেলা, ঝাউবন, নিরিবিলি ইত্যাদি উল্লেখ যোগ্য। সিজন অনুসারে এখানে খাবারের দাম কম বেশি হতে পারে। একটু দূরে হলেও পৌষিতে (প্রধান শহরে যেটা) একবার হলেও খাবেন। আশা করি অনেক ভাল লাগবে।

4 4 ভোট
রেটিং

লেখক

Rashedul Alam; Rasadul Alam; founder of cybarlab.com; founder of trippainter.com; trippainter.com; cybarlab.com; Bangladeshi travel blogger; Bangladeshi blogger; Bangladeshi software engineer

আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।

Subscribe
Notify of
3 মন্তব্য
Inline Feedbacks
সব মন্তব্য দেখুন

''

3
0
আমরা আপনার অভিমত আশা করি, দয়াকরে মন্তব্য করুনx