বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে নির্মিত সুন্দর এবং পরিছন্ন এক প্রকল্প জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক (Jolshiri Central Park)। মনোরোম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কারণে পরিবার-পরিজনসহ সারাদিন কাটানোর জন্য এটি ঢাকা বাসীর কাছে এখন খুবই জনপ্রিয়। বিশাল উন্মুক্ত মাঠ, গোলক ধাঁধা, থ্রিডি ভিশন থিয়েটার, কিডস জোন, নৌকাভ্রমণ পার্কটিকে করেছে অনন্য।
জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক কোথায় অবস্থিত
জলসিঁড়ি সেন্ট্রাল পার্ক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে অবস্থিত। জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের বসবাসের জন্য নির্মিত একটি হাউজিং স্কিম। যেখানে প্রায় ৫২% খোলা জায়গা থাকবে। এই প্রকল্পের ১৩ নম্বর সেক্টরে প্রায় ১৪.৩৫ একর জায়গা জুড়ে এই পার্ক বানানো হয়েছে। পূর্বাচল এক্সপ্রেস ওয়ের পাশেই এর অবস্থান।
কি আছে এই পার্কে
জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কের চারপাশে সুন্দর লেক আছে। যেখানে বোট ভাড়া করে ঘুরে বেড়ানো যায়। দুই আসনের প্যাডেল বোট ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া ১০০ টাকা। স্পিডবোট ৩০ মিনিটের জন্য ভাড়া ৫০০ টাকা। স্পিড বোটে ১০ থেকে ১২ জন বসা যায়। লেকের পাশে হাঁটার জন্য সুন্দর ওয়াক ওয়ে আছে। বাচ্চাদের খেলার জন্য বিভিন্ন ধরণের রাইড আছে। রাইড গুলো সম্পূর্ণ ফ্রি।
আরো আছে বিশাল উন্মুক্ত মঞ্চ। যেখানে গায়ে হলুদ সহ বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। মঞ্চের পাশে বড় একটি কৃত্তিম জলপ্রপাত আছে। যা সাধারণত সন্ধ্যার দিকে চালু করা হয়। লেকের উপর ছোট ছোট কিছু ঘর আছে। ভিতরে নামাজের জায়গা আছে। বাহিরে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে। প্রতি ঘন্টা ভাড়া ৫০ টাকা।
জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক কিভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো জায়গা থেকে প্রথমে চলে আসবেন কুড়িল বিশ্বরোড। সেখান থেকে গাউসিয়া গামী বিআরটিসি বাসে উঠে জলসিঁড়ি নামবেন। ভাড়া ৩০ টাকা। সেখান থেকে রাস্তা পার হয়ে অটো রিকশা নিয়ে চলে যাবেন জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক। ভাড়া ৩০ টাকা। এছাড়া প্রাইভেট কার নিয়েও আসতে পারেন।
টিকেট মূল্য
জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্কের প্রবেশ মূল্য ভ্যাট সহ ২৩০ টাকা। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ২০ টাকা। জলসিড়ি সেন্ট্রাল পার্ক সপ্তাহে ৭ দিন খোলা থাকে। তবে শুক্রবার শুধুমাত্র সামরিক বাহিনীর পরিবারের সদস্যদের জন্য খোলা থাকে।
সতর্কতা
- এখানে থাকার ব্যবস্থা নেই।
- চেষ্টা করবেন সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে যেতে।
- অনেক সময় সন্ধ্যার পর অটো ভাড়া বেড়ে যায়।
- যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।
- বাহিরে খাবার এবং খেলার সরঞ্জাম নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা যায় না।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।