
মাধবপুর লেক কোথায় অবস্থিত
মাধবপুর লেক বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দুরুত্ব প্রায় ২০৭ কিলোমিটার, মৌলভীবাজার শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার, শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার, কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার।
মাধবপুর লেকের ইতিহাস
চা বাগানে চা চাষের জন্য প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। তাই পাহাড়ী এলাকায় বৃষ্টি বেশি হয় বলে সাধারণত সেখানেই চা চাষ করা হয়। তবে বৃষ্টি বেশি হলেও ঢালু হবার কারণে পানি দ্রুত চলে যায়। তাই অনেক সময় বাগান কতৃপক্ষ বাঁধ দিয়ে জলধারা তৈরী করে।
স্থানীয় লোকজন এসব হ্রদ কে ডাম্প বলে। মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ ১৯৬৫ সালে বাগানের মধ্যে অবস্থিত তিনটি টিলাকে বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে তৈরী করে এই মাধবপুর লেক। বর্তমানে এটি ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন।
মাধবপুর লেকের আয়তন
মাধবপুর লেকের আয়তন প্রায় ৫০ একর। এটি দৈর্ঘে ৩ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ৫০ থেকে ৩০০ মিটার।
মাধবপুর লেক কিভাবে যাবেন
মাধবপুর লেক যেতে হলে প্রথমেই আসতে হবে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে। ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেনে আসা যায় শ্রীমঙ্গল। সায়দাবাদ, ফকিরাপুল থেকে হানিফ, শ্যামলী, এনা ইত্যাদি বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানীর এসি/নন এসি বাস আসে শ্রীমঙ্গল। ভাড়া ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা। সময় নিবে ৪ ঘন্টা।
এছাড়া সিলেটগামী ট্রেনে আসা যায় শ্রীমঙ্গল। সময় নিবে ৫ থেকে সাড়ে ৫ ঘন্টা। ভাড়া ২২০ থেকে ১০০০ থাকা।
শ্রীমঙ্গল পৌঁছে সেখান থেকে সিএনজি, প্রাইভেটকার, জীপ নিয়ে চলে যাবেন মাধবপুর লেক। এছাড়া আকাশ পেতে সিলেট পৌঁছে সেখান থেকে যেতে পারেন মাধবপুর লেক।
মাধবপুর লেকের সময় সূচি
মাধবপুর লেক প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য খোলা থাকে।
কোথায় খাবেন
মাধবপুর লেকের ভিতরে বা আশে পাশে খাবারের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। খেতে চাইলে শ্রীমঙ্গল শহরে এসে খেতে হবে। শ্রীমঙ্গলে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট আছে। তার মধ্যে পানশী, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট খুবই জনপ্রিয়। এদের খাবার অনেক টেস্টি। একবার হলেও খাবেন।
লেকে প্রবেশ করার সময় সাথে কিছু হালকা খাবার আর পানি নিয়ে যেতে পারেন। তবে এখানে বাগানের তাজা আনারস পাওয়া যায়। অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। অসাধারণ টেস্ট। ন্যাশনাল টি কোম্পানির চা পাওয়া যায়। বাসার জন্য বা কাউকে গিফট দিতে কয়েক প্যাকেট কিনে নিতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
শ্রীমঙ্গলে থাকার জন্য বেশি কিছু হোটেল এবং সুন্দর মনোরম রিসোর্ট রয়েছে। আরো আছে কটেজ এবং সরকারি গেস্ট হাউজ। আপনার চাহিদা এবং বাজেট অনুসারে যে কোনো একটায় থাকতে পারেন। তবে চা বাগান ঘেঁষা ইকো রিসোর্ট গুলো তে থাকতে পারলে বেশি ভালো লাগবে। আরো আছে ফাইভ স্টার মানের হোটেল গ্রান্ড সুলতান।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।