সিকিমের বেশিরভাব আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট গুলো নর্থ সিকিমে অবস্থিত। ঝর্ণা, উপত্যকা, পর্বতমালার সাথে শান্ত সময় কাটাতে প্রকৃতি প্রেমীরা এখানে ছুতে আসেন। সেই থাকে তুষারপাত এবং জমে থাকা বরফ অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই এলাকার চাহিদা বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। আজ আমি আমার নর্থ সিকিম ভ্রমণ অভিজ্ঞতা (North Sikkim Travel Experience) শেয়ার করবো।
আমি যেকারণে নর্থ সিকিম ভ্রমণ এ আসলাম
আমি এর আগে ভুটান, লাদাখ এবং কাশ্মীর ভ্রমণ করেছি। সেখানে প্রচন্ড ঠান্ডা পেলেও বরফ এবং তুষারপাত এর দেখা পাই নাই। আমরা যারা নিচু এলাকায় থাকি তাদের কাছে বরফ এবং তুষারপাত খুবই লোভনীয় ব্যাপার। তাই মূলত বরফ এবং তুষারপাত দেখার জন্যই আমার সিকিমে আসা।
আজ সেই কাঙ্খিত দিন। আজ আমরা ইয়ুমথাং ভ্যালি এবং জিরো পয়েন্ট যাবো। আশা করি সেখানে বরফ এবং তুষারপাতের দেখা পাবো। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে গেলাম। গিজার থাকার পরেও মারাত্মক ঠান্ডার কারণে কেউ আর গোসল করলাম না। সবাই ইনার, ভারী জামাকাপড়, হাতমোজা, কানটুপি এবং জ্যাকেট পরে নিলাম। মেয়েদের কে ডাবল মুজা পরিয়ে দিলাম।
হোটেলের বাহিরে বরফে হাঁটার জন্যও স্পেশাল বুট, হ্যান্ড গ্লাভস, জ্যাকেট ভাড়া পাওয়ায় যায়। আমি কেবল বুট নিলাম। ইতিমধ্যে টিমের সবাই গাড়ির সামনে চলে এসেছে। ড্রাইভার বললো সকালের নাস্তা গাড়িতে নিয়ে নিবো। পথে কোথাও খেয়ে নিবেন। ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। তাই সবার ব্যাগ ১ টা রুমে রেখে, বাকি রুম গুলো ছেড়ে দিন। আমি ছোট একটা ব্যাগে মেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে নিলাম।
নর্থ সিকিম ভ্রমণ এ পথের সৌন্দর্য
সকাল ৭ টার দিকে আমরা চলা শুরু করলাম। আমরা প্রথমে ইয়ুমথাং ভ্যালি হয়ে জিরো পয়েন্ট যাবো। ফিরার পথে ইয়ুমথাং ভ্যালিতে থামবো। গতকাল রাতেই আমরা ড্রাইভারের সাথে কথা বলে অতিরিক্ত ৪০০০ রুপি দিয়ে জিরো পয়েন্ট যাবার কথা ফাইনাল করেছিলাম। জিরো পয়েন্ট সব সময় যাওয়া যায় না। কেননা আবহাওয়া খারাপ হলে অতিরিক্ত বরফ জমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় পাহাড় ধসেও রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।।
তবে আজকে আবহাওয়া খুবই চমৎকার। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ দিয়ে আমাদের গাড়ি এগিয়ে চলে। জিরো পয়েন্ট যাবার রাস্তাটি অসাধারণ সুন্দর। দুইপাশে সাদা বরফে ঢাকা উঁচু উঁচু পাহাড়। সারি সারি পাইন গাছ। সুন্দর সুন্দর উপত্যকা। যত উপরের দিকে উঠতে থাকি মনে হচ্ছে তাপমাত্রা কমছে। রাস্তার দুই পাশে বরফ জমে আছে।
আমি গাড়ি থামিয়ে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর পয়েন্টে ছবি তুলতে চাইলাম। কিন্তু টিমের বাকিরা বললো ফেরার পথে থামবো। হটাৎ আমরা এক আশ্চর্যজনক সুন্দর জায়গায় চলে আসি। মোটামোটি অনেকদূর পর্যন্ত সোজা রাস্তার দুই পাশে প্রচুর বরফ জমে আছে। দুইপাশের পাইন গাছ গুলোও বরফে ঢাকা। বরফের কারণে তাদের সবুজ পাতাগুলো ঝিঁঝিঁ পোকার আলোর মতো মনে হচ্ছে। কালো পিচ ঢালা সরু রাস্তা বাদে আশেপাশের সব কিছু সাদা। মনে হচ্ছে আমরা সাইবেরিয়া চলে এসেছি।
ড্রাইভারকে বললাম ভাই গাড়ি থামান। আমি আর থাকতে পারছিনা। ড্রাইভার একপাশে গাড়ি থামালো। গাড়ি থেকে নেমে সবার মাথা পুরাই নষ্ট। এত সুন্দর পরিবেশ এর আগে কেবল মুভিতে দেখেছি। অপার সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে আমরা প্রচুর ছবি তুললাম। বরফে হাটাহাটি করলাম। আমার মেয়েরাও বরফ নিয়ে খুব মজা করলো। আমাদের দেখে পিছনের সব গাড়ির ট্যুরিস্টরাও নেমে পরে।
সকালের নাস্তা
আমরা আবার চলা শুরু করি। ছোট একটা দোকানের সমানে নাস্তা করার জন্য ড্রাইভার গাড়ি থামালো। কাঠ এবং টিন দিয়ে তৈরী দোকানের ভিতরে প্রবেশ করেই দেখি মাঝখানে একটা চুলায় আগুন জ্বলছে। এতক্ষন ঠান্ডায় সবার শরীর জমে গেছে। তাড়াতাড়ি সবাই শরীর গরম করে নেয়ার জন্য চুলার চারপাশে দাঁড়িয়ে গেলাম।
এখানে সফ্ট ড্রিঙ্কস, চা, কফি, মোমো এই জাতীয় হালকা খাবারের ব্যবস্থা আছে। আমরা সাথে ব্রেড, জেলি এবং বাটার নিয়ে এসেছি। সেগুলো দিয়ে সবাই নাস্তা করে নিলাম। দোকানদার অবশ্য বাটার গরম করে দিয়েছিলো। নাস্তা শেষে গরম গরম চা খেতে যা ভালো লেগেছিলো।
নাস্তা শেষে বাহিরে এসে দেখি চারপাশের দৃশ্য খুবই মনোরম। সামনের বরফে ঢাকা পাহাড় গুলোতে মেঘ এসে আছড়ে পড়ছে। ঘন মেঘের কারণে পাহাড়ের উপরের দিক দেখা যাচ্ছেনা। অবশ্য বেশিক্ষন উপরের দিকে তাকাতেও পারছিলকাম না। ভীতরে কেমন জানি একটা ভয় কাজ করছিলো। মনে হচ্চে এই বুঝি পাহাড় গুলি আমার উপরে এসে পড়বে। এমন ভয়ংকর সুন্দর পরিবেশে বেশ কিছুক্ষন ছবি তোলে আমরা আবার সামনে এগিয়ে চলি।
ড্রাইভারকে বললাম আমরা প্রথমে জিরো পয়েন্ট যাবো। সেখান থেকে ফেরার পথে ইয়ুমথাং ভ্যালিতে থামবো। তাই ইয়ুমথাং ভ্যালির পাশ দিয়ে গাড়ি জিরো পয়েন্টের দিকে এগিয়ে চলে। পথে আরো কিছু সুন্দর পয়েন্টে থেমে আমরা ছবি তুলি। আপনারাও যেখানে যেখানে সুন্দর জায়গা পাবেন অল্প সময় থেমে হলেও ছবি তুলে নিবেন। কারণ এখানকার পরিবেশ ক্ষনে ক্ষনে বদলে যায়। ফেরার পথে এমন পরিবেশ নাও পেতে পারেন। রাস্তা খারাপ হয়ে যাবার কারণে জিরো পয়েন্ট নাও যেতে পারেন।
জিরো পয়েন্ট
অবশেষে আমরা চলে আসি কাঙ্খিত সেই জিরো পয়েন্ট। জায়গাটায় খুবই অসাধারণ। চারিদিক সাদা বরফে ঢাকা। আমাদের আগেই দেখি অনেক পর্যটক চলে এসেছে। গাড়ি থেকে নেমে প্রথমেই আমরা গরম কফি খেয়ে নিলাম। এখানে চা, কফি, পপকর্ন, মোমো ইত্যাদি হালকা খাবার পাওয়া যায়। এখানে শরীফ ভাইদের সাথে দেখা হলো। কফি শেষ করে আমরা বরফে নেমে গেলাম। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে মেয়েরা বেশিক্ষন থাকতে পারলোনা। ওদেরকে গাড়িতে রেখে আমি আবার বরফে চলে গেলাম।
আমাদের টিমের সবাই মোটামোটি কাছাকাছি থেকে ছবি তুললো। আমি হেটে একদম পাহাড়ের উপরের দিকে চলে গেলাম। এখানে সব কিছু ভারী বরফে ঢাকা। নিচে কি আছে দেখা যাচ্ছেনা। পাথরের ফাঁকে গর্ত থাকতে পারে। ঘন বরফের মধ্যে কিভাবে চলতে হয় তা বিয়ার গ্রিলস এর প্রোগ্রাম দেখে শিখেছিলাম।
অতিরিক্ত উচ্চতা এবং পরিশ্রমের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই আমি সাবধানে আস্তে আস্তে হাটাচড়া করি। পাহাড়ের উপরে বেশ কিছু ইন্ডিয়ানকে পেলাম। উনারা কলকাতা থেকে এসেছে। উনাদের সাথে বরফ নিয়ে বেশ কিছুক্ষন খেলাধুলা করি। প্রচুর ছবি তুলে এবং ভিডিও করে নিচের দিকে নামতে শুরু করলাম।
সব কিছু সাদা হবার কারণে এখানে দিক ঠিক রাখা কষ্টকর। আমি একটু পর পর গাড়ি পার্কিং এলাকার দিকে তাকিয়ে দিক ঠিক রাখার চেষ্টা করি। সাদার মাঝে কেবল ওই টুকুই কালো। যদিও দূর থেকে অস্পষ্ট। কাছাকাছি এসে লক্ষ্য করলাম টিমের লোকজন আমাকে জলদি আসার জন্য হাতে ইশারা দিচ্ছে। আর দেরি না করে আমি তাই দ্রুত গাড়ির কাছে চলে আসি।
তাপমাত্রা -৫ থেকে -১০ ডিগ্রীর মতো হবে। ঠান্ডায় সবাই জমে যাচ্ছিলাম। তাই এখানে আর দেরি না করে দ্রুত নিচের দিকে নামতে শুরু করি। গন্তব্য ইয়ুমথাং ভ্যালি হয়ে লাচুং। কিছুদূর আগানোর পরে আমার মাথা চক্কর দিতে থাকে। কয়েকবার বমি করি। বুজতে পারলাম তাড়াহুড়া করে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঠিক হয় নাই। আরো সময় নিয়ে ধীরে ধীরে নামা উচিৎ ছিল। পানি খেয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিয়ে আবার চলা শুরু করি। এবার আমি ড্রাইভারের পাশের সিটে বসি। পিছনে বসায় গাড়ি বার বার টার্ন নেয়ার কারণে সমস্যা হচ্ছিলো।
ইয়ুমথাং ভ্যালি
দুপুর ১২:৩০ মিনিটের দিকে আমরা চলে আসি ইয়ুমথাং ভ্যালি। গাড়ি থেকে নেমে একটু মন খারাপ হলো। সকালে যাবার সময় পুরো ইয়ুমথাং ভ্যালি সাদা বরফে ঢাকা ছিল। এখন তেমন বরফ নেই। টিমের অনেকে নিচের দিকে নদীর কাছে চলে গেলো। শরীর খারাপ থাকায় আমি খুব বেশি দূরে গেলাম না।
হটাৎ করেই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যায়। স্নোফল শুরু হয়। জীবনে এই প্রথম আমরা লাইভ স্নোফল দেখলাম। সেই অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। আমরা অনেক্ষন স্নোফল উপভোগ করি। স্নোফলের মধ্যে দৌড়াদৌড় করা সেই মজার। সবাই প্রচুর ছবি তুললাম এবং ভিডিও করলাম।
স্নোফল উপভোগ করে আবার মন ভালো হয়ে গেলো। এক পর্যায়ে ভারী স্নোফল শুরু হলো। সেই সাথে বৃষ্টি। আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি লাচুং এর দিকে রওনা দিলাম। বৃষ্টির কারণে পাইন গাছের পাতায় জমে থাকা বরফ আর নেই। রাস্তার ধারে জমে থাকা বরফ গুলোও ভেসে গেছে। যাবার পথে ছবি না তুললে পুরাই ধরা খেতাম।
লাচুং থেকে গ্যাংটক
লাচুং এ আমাদের হোটেলে যখন পৌঁছাই তখনো বৃষ্টি হচ্ছিলো। বৃষ্টির মধ্যেই দুপুরের খাবার খেয়ে গ্যাংটকের দিকে রওনা দেই। বৃষ্টির কারণে গাড়ি ধীরে ধীরে চলতে থাকে। বচ্চন ফলস এর সামনে গাড়ি থামে। রাত হয়ে যাবার কারণে গতকাল এখানে আমরা থামি নাই। আজ বৃষ্টির কারণে সবাই নামতে চাইলোনা। আমি এবং অন্য ২ জন নেমে সামনে দাঁড়িয়ে পটাপট কিছু ছবি তুলে নিলাম।
তিস্তা ড্যাম্প পার হবার পরেই আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ড্রাইভার বললো একটা নাট ভেঙে গেছে। আপনারা গাড়িতে বসেন, আমি দেখি কোনো গ্যারাজ পাই কিনা। নিচেই সুন্দর তিস্তা নদী। কিন্তু বৃষ্টির কারণে যেতে পারলাম না। অনেকক্ষন পর ড্রাইভার লোক নিয়ে আসলো। গাড়ি ঠিক হবার পর আমরা পুনরায় চলা শুরু করি।
একপর্যায়ে আমার ১ নাম্বারের প্রেশার আসলো। ড্রাইভারকে বললাম মামা গাড়ি থামান। কিন্তু রাত হয়ে যাবার কারণে উনি মনে হলো ভয় পাচ্ছে। বলে একটু সামনেই পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল নিবো। তখন ঐখানে… যাই হউক অনেক্ষন চেপে রাখার পর অবশেষে ড্রাইভার মামার সেই পেট্রোল পাম্প আসলো। গাড়ি থামাতেই দৌড়ে টয়লেটে গিয়ে হালকা হলাম। আঃ কি শান্তি।
পেট্রোল পাম্পের সাথেই এক রেস্টুরেন্টে সবাই চা খেতে গেলাম। কিন্তু সারি সারি লাল পানির বোতল এবং একটা তীব্র গন্ধ যুক্ত খাবারের কারণে ভিতরে বসতে পারলাম না। বাহিরে দাঁড়িয়ে চা খেয়ে আবার চলা শুরু করি।
গ্যাংটকের কাছাকাছি আসার পরে বৃষ্টির পরিমান আরো বেড়ে গেলো। সেই সাথে বরফ পড়া শুরু হলো। বরফের কারণে ড্রাইভ করতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। রাত ৯ তার দিকে আমরা গ্যাংটক শহরে পৌঁছাই। আগে থেকেই হোটেল ঠিক করা ছিল। তাই সরাসরি রুমে চলে গেলাম।
ছাঙ্গু লেকের পারমিশন
গাড়িতে থাকা অবস্থায় টিমের বাকিরা জানিয়ে দেয় উনারা আর ছাঙ্গু লেক যাবেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্যাংটক থেকে দার্জিলিং চলে যাবে। কিন্তু এতো দূর এসে ছাঙ্গু লেক না দেখে আমি যেতে চাইলাম না। আমার ওয়াইফ বললো, উনারা না গেলে আমরা একাই যাবো। আপনা পছন্দ ধাবাতে ডিনার করে ওদের রুমে দিয়ে আমি চলে গেলাম সানফ্লাওয়ার ট্রাভেল এজেন্সিতে। ছাঙ্গু লেক এজেন্সির মধ্যে অনুমতি নিয়ে যেতে হয়।
রাত তখন প্রায় ১০:৩০। এজেন্সির লোক বললো আজ আর হবেনা। রিকুয়েস্ট করায় ২/১ জায়গায় কল করে বললো ১ টা গাড়ি যেতে রাজি হয়েছে। খরচ পর্বে ৫,৫০০ রুপি। আমি বললাম আমরা মাত্র ৩ জন। একটু কম রাখেন। অবশেষে ৪,৫০০ রুপিতে ফাইনাল করি। আমি সাথে যাবতীয় পেপারস নিয়ে গেছিলাম। দ্রুত উনারা পার্মিশনের জন্য আবেদন করে দিলো। বললো সকাল ১০ টায় ভজরা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চলে যাবেন। ফিরার সময় রিকুয়েস্ট করলাম গাইড অন্য গাড়িতে দিবেন। বললো ঠিক আছে।
এই ২ দিন নেটওয়ার্ক এর বাহিরে ছিলাম। তাই রুমে ফিরে দেশে কথা বলে নিলাম। ফেইসবুকে কিছু ছবি পোস্ট করে ঘুমিয়ে গেলাম।
নর্থ সিকিম ভ্রমণ নিয়ে কিছু পরামর্শ
- হোটেলে স্পেশাল বুট, হ্যান্ড গ্লাভস, জ্যাকেট ভাড়া পাওয়ায় যায়। প্রয়োজনমতো নিয়ে নিন।
- প্রথমে জিরো পয়েন্ট যাবেন। ফেরার পথে ইয়ুমথাং ভ্যালি যাবেন।
- যাত্রাপথে সুন্দর জায়গা পেলে ছবি তুলে নিবেন। কেননা ফেরার সময় এমন পরিবেশ নাও পেতে পারেন।
- একিউট মাউন্টেইন সিকনেস এর বেপারে সজাগ থাকুন।
- নর্থ সিকিমে পাস্টিক পণ্য ব্যবহার করা নিষেধ। সাথে পানির পট রাখুন।
- যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাখুন।
- নর্থ সিকিমে মারাত্মক ঠান্ডা। তাই সাথে পর্যাপ্ত শীতের কাপড় রাখুন।
- বাচ্চাদের অতিরিক্ত খেয়াল রাখুন।
সিকিম ভ্রমণের গল্প
আমার নর্থ সিকিম ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। সিকিম ভ্রমণের আরো অভিজ্ঞতা জানতে বাকি পর্ব গুলো দেখে নিতে পারেন। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
- পর্ব ১: ঢাকা থেকে গ্যাংটক
- পর্ব ২: গ্যাংটক শহর ভ্রমণ
- পর্ব ৩: নর্থ সিকিম ভ্রমণ প্যাকেজ
- পর্ব ৪: গ্যাংটক থেকে নর্থ সিকিম
- পর্ব ৬: ছাঙ্গু লেক ভ্রমণ
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।