চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থান

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

Loading

নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
napittochara-trail-3
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
napittochara-trail-3
সৈকতে চিংড়ি ফ্রাই
napittochara-trail-3
সৈকতে জাহাজ
Shadow

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত (Patenga Sea Beach) বন্দরনগরী চট্রগ্রামের সব থেকে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। চট্রগ্রাম শহর থেকে এর দুরুত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে এই সৈকতটি ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে বর্তমানে সিমেন্ট দিয়ে উঁচু দেয়াল দেয়ায় এর নিরাপত্তা এবং সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

পতেঙ্গা কিভাবে যাবেন

পতেঙ্গা সী বীচ যেতে হলে প্রথমে আপনাকে আসতে হবে বন্দরনগরী চট্রগ্রাম। ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন, প্লেন ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে চট্রগ্রাম আসা যায়। চট্রগ্রাম শহর থেকে সিএনজি চালিত স্কুটারে এক ঘন্টায় চলে যেতে পারেন পতেঙ্গা। ভাড়া নিবে ২৫০ টাকা। আর বাসে যেতে চাইলে সময় একটু বেশি লাগবে। চক বাজার মোড়, বদ্দার হাট, লালখান বাজার মোড়, জিইসি মোড়, নিউ মার্কেট থেকে পতেঙ্গা যাবার বাস পাবেন। বাসের গায়ে লেখা থাকবে “সী বীচ”।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এ যা দেখবেন

শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাটি -বিএনএস ঈশাঁ খা, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি এইট তিনটি খুব কাছাকাছি হওয়ায় সৈকতে যাবার বা আসার পথে দেখে নিতে পারেন। এই সমুদ্র সৈকতের কাছে আছে বার্মিজ মার্কেট। পছন্দের অনেক কিছুই কিনে নিতে পারেন। বীচে সন্ধ্যার সূর্যাস্তের দৃশ্য মনকে আরো বেশি পুলকিত করবে। সবচেয়ে ভালো লাগবে সন্ধ্যার পরিবেশ। তাই থাকতে পারেন সন্ধ্যা পর্যন্ত।

ঘোড়ায় পিঠে চড়তে পারেন। স্পিডবোড কিংবা কাঠের তৈরি সাম্পান নৌকায় চড়ে সমুদ্রে ঘুরতে পারেন। তবে স্পিডবোড থেকে সাম্পান নৌকায় উঠলেই বেশি মজা পাবেন। সেই সাথে দেখতে পারেন জাহাজের চলাচল কিংবা মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া প্লেন। চেষ্টা করবেন মাঝিকে বলে একটু দূরে জাহাজের কাছাকাছি যেতে।

কক্সবাজারের মতো এখানে এতো ঢেউ নাই। আর পানি অনেকটা ঘোলাটে। তাই পানিতে নেমে মজা পাবেন না। তবে পা ভিজতে পারেন। উপরে সী ফুড পাওয়া যায়। খেতে পারেন।

সময় থাকলে যেতে পারেন এয়ারপোর্টের কাছে বাটার ফ্লাই পার্কে। বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এখানে প্রায় ৭০ প্রজাতির ১০০০ এর বেশি প্রজাপতি রয়েছে। তবে প্রজাপতির দেখতে চাইলে সকাল সকাল যাওয়াই ভালো হবে। কেননা বিকেলের পর প্রজাপতিরা ঝোঁপের আড়ালে চলে যাবে।

4.2 10 ভোট
রেটিং

লেখক

আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।

Subscribe
Notify of
3 মন্তব্য
Inline Feedbacks
সব মন্তব্য দেখুন

''

3
0
আমরা আপনার অভিমত আশা করি, দয়াকরে মন্তব্য করুনx