ভারত ভ্রমণ কাহিনী

সোনমার্গ ভ্রমণ কাহিনী | কাশ্মীর ভ্রমণ -পর্ব ৫

Loading

সোনমার্গ ভ্রমণ

ভারতের জন্মু এন্ড কাশ্মীর এলাকার গন্ডারবাল জেলার এক হিল স্টেশন বা শহর হচ্ছে সোনমার্গ (Sonmarg)। এটি শ্রীনগর থেকে প্রায় ৮২ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। এখান দিয়েই প্রাচীন সিল্ক রোড চলে গেছে। অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য সোনমার্গ কে বলা হয় পৃথিবীর স্বর্গ। আসুন শুনি আমার সোনমার্গ ভ্রমণ কাহিনী।

সোনমার্গ এর দর্শনীয় স্থান

সোনামার্গ কাশ্মীরের সুন্দর জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানকার উল্লেখযোগ্য ট্যুরিস্ট স্পট গুলো হচ্ছে থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার বা থাজিওয়াস হিমবাহ, জোজিলা পাস, বালতাল ভ্যালি, অমরনাথ গুহা, গঙ্গাবাল লেক, গাদসার লেক, ভিসান্তার লেক, সাসতার লেক, উলার লেক ইত্যাদি। সবগুলো দেখতে গেলে ২-৩ দিন সময় লেগে যাবে। আমাদের হাতে যেহেতু সময় কম তাই, সোনমার্গ ভ্রমণ এর অংশ হিসাবে আমরা কেবল থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার এ যাব।

সোনমার্গ ভ্রমণ শুরু

নাস্তা শেষ করে আমরা চলে আসলাম সোনমার্গ পার্কিং পয়েন্ট। এখন থেকেই থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার যেতে হয়। এখানে এসেই মনে হলো ঘোড়ার হাট বসেছে। ঘোড়ার লোকজন সব ঘিরে ধরেছে। আমরা অবশ্য আগেই ড্রাইভারকে বলে রেখেছিলাম। ওনি প্রতি ঘোড়া ৭০০ রুপি দিয়ে ঠিক করে দিল। আপনারা ঘোড়ায় চড়ার আগে অবশ্যই দরদাম করে নিবেন। এখানে দালালের অভাব নাই। সুযোগ পেলে ৩০০০ রুপি পর্যন্ত নিয়ে নেয়। সব থেকে ভালো হয় গাড়ির ড্রাইভার কে দিয়ে ঠিক করা। ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ানো সোনমার্গ ভ্রমণ এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট।

জীবনে প্রথম ঘোড়ায় চড়া

জীবনে এই প্রথম ঘোড়ায় চড়ব, তাই খুব এক্সসাইটেড ছিলাম। এখানকার ঘোড়ার ব্যবসা গাড়ির মতো। একেক মালিকের বেশ কিছু ঘোড়া আছে। কিছু লোক তাদের চালায় যাদের আমরা ঘোড়ার চালক বা এসিস্ট্যান্ট বলতে পারি। তারা সবাই বেতনভুক্ত। আপনে ঘোড়ার পিঠে উঠে বসবেন আর তারা আস্তে আস্তে ঘোড়াগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়।

তাদের কাছে একটি লাঠি থাকে যা দিয়ে মাজে মাজে ঘোড়াগুলোকে সাইজ করে । একটা গ্রূপের জন্য সাধারণত ২-১ জন এসিস্ট্যান্ট থাকে। আপনে ঘোড়ায় চড়ে যাবেন আর তার পুরা পথ হেটে হেটে যাবে। আর এর জন্য তারা খুব সামান্যই মজুরি পান।

আমাদের ছয় জনের জন্য ছয়টি ঘোড়া আর দুই জন এসিস্ট্যান্ট। একজন একটু মুরুব্বি টাইপের আর একজন ১৪-১৫ বছরের বালক। তাদের নাম এই মুহূর্তে মনে নাই। এসিস্ট্যান্ট ধরে ধরে আমাদের সবাইকে ঘোড়ার পিঠে উঠায় দিলো। সকাল ১১:৩০ থেকে আমাদের রাইড শুরু হলো।

ঘোড়ার পিঠের অভিজ্ঞতা

প্রথম দিকে খুবই অস্বস্থি লাগছিলো। জীবনে এই প্রথম ঘোড়ায় চড়া, তাই একটু ভয় ও পাচ্ছিলাম। টিমের অন্যদের অবস্থাও একই। ঘোড়ার পিঠে একটি সিট লাগানো আছে যা চামড়ার তৈরী। সেখানে হাত দিয়ে ধরার ব্যবস্থা আছে। দুই পা রাখার জন্য দুই সাইডে দড়ি আর লোহার রিং দিয়ে বানানো সিঁড়ির মতো কিছু একটা আছে। ওটায় পারা দিয়েই ঘোড়ায় উঠা এবং নাম লাগে।

ঘোড়ার মাথার সাথে লাগানো একটি দড়ি আছে যাকে লাগাম বলে। এক হাত দিয়ে লাগাম ধরতে হয় যা দিয়ে ঘোড়াকে ডানে বামে টার্ন করা যায়। লাগামকে টেনে ধরলে ঘোড়া থেমে যাবে। পুনরায় চালু করাতে হলে দুই পা দিয়ে বডিতে হালকা ঘুতা দিতে হয়। বেশি জোরে চলতে হলে সাথে তেজ চলো…তেজ চলো… বলতে হয়। তাহলে দৌড়াতে থাকবে।

পাহাড়ের উপরের দিকে উঠার সময় নিজের মাথাকে সামনের দিকে আর নিচের দিকে নামার সময় পিছনের দিকে নিয়ে যেতে হয় যাতে ব্যলান্স থাকে। নাহলে পরে যাবার চান্স থাকে। এগুলা সব এসিস্ট্যান্ট আমাদেরকে বুঝায় দিলো।

আস্তে আস্তে আমরা এগিয়ে চললাম। শক্ত সিটের কারণে নিজের পাছার অবস্থা টাইট। মনে হলো আজ বুঝি পাছার ছাল উঠে যাবে। যাই হোক একটু পরেই আস্তে আস্তে নিজেকে মানিয়ে নেই। এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছেনা। ঘোড়াকেও কন্ট্রোল করতে পারছি। বাকিরাও মানিয়ে নেয় কেবল খাদেম ভাই ছাড়া।

খাদেম ভাই খুবই ভয় পাচ্ছিলেন। আমরা বালকটিকে বললাম তুমি সব সময় ওনার ঘোড়া ধরে রাখবা যাতে এদিক সেদিক না যেতে পারে। তাও সে মাঝে মাঝে অন্যদিকে চলে যায়। ডাকলেও শুনেনা, কিছু জিজ্ঞেস করলে বলেনা। পরে বুজতে পারি সে আসলে বোবা এবং কানেও শুনেনা। খুবই খারাপ লাগলো। প্রতিবন্ধী হয়েও এই বয়সে টাকার জন্য এই কষ্টকর কাজ করছে।

প্রত্যেক ঘোড়ার আলাদা নাম

সোনমার্গের ঘোড়াগুলো একটু ছোট সাইজের। তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নাম আছে। আমরটার নাম সুলতান। সে কাজেও সুলতান। সব সময় আগে আগে চলে। এই ঘোড়াগুলোর আশ্চর্য টাইপের এক ক্ষমতা আছে। সামনে কোনো উঁচু নিচু জায়গা আসলে তারা নিজের পা কে এমন ভাবে ছোট বড় করে যাতে আমরা না পরে যাই।

এই ৮০ কেজির বিশার বডিটাকে সুলতান সহজেই পাথরের উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। স্কুল লাইফে বিজ্ঞান ক্লাসে শেখা শক্তির একক হর্স পাওয়ার সম্পর্কে আজ প্রাক্টিকাল ধারণা পেলাম।

থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার

যতই সামনে আগাচ্ছি আর অবাক হচ্ছি। পৃথিবী এতো সুন্দর কিভাবে হলো। দুই পাশে উঁচু উঁচু পাহাড় আর তাদের ফাঁকে সবুজ সমতল ভূমি। যেন প্রকতি সবুজ কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে। পাহাড়ে বিশাল বিশাল পাইন গাছ আর তাদের মাথায় সাদা বরফ। সব কিছু এক কথায় চমৎকার।

আমার মনে হচ্ছিল আমরা সবুজ কোনো টিউবের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। দূরে থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে পুরা পাহাড়টি যেন এক বরফের টুকরা। আসলে ঐখানে এতো ঠান্ডা যে, ওখানকার বরফ কখনোই গলেনা। আর ঠান্ডা হয়ে জমতে জমতে ওটা পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে।

উপরের পাহাড় থেকে বরফ গলা জল গড়িয়ে পড়ছে। সব জল এসে ছোট এক নদীর সৃষ্টি করেছে। আমাদের ঘোড়া সেই জল পার হয়ে চলে যাচ্ছে। দূর থেকে দেখে মনে হবে আলী বাবা ৪০ চোর। সে এক দারুন অভজ্ঞতা। আমরা গ্লেসিয়ার এর কাছাকাছি এক জায়গার আসে থামলাম। ঘোড়ার একটু রেস্টের প্রয়োজন। এই জায়গাটা অসাধারণ।

রেস ৩ মুভির শুটিং লোকেশন

এখানে বিশাল এক পাথর রয়েছে। জায়গাটা বেশ পরিচিত মনে হচ্ছে। বেশ কিছু হিন্দি মুভিতে দেখছি। কিছুদিন আগেই এখানে সালমান খানের রেস্ ৩ মুভির গানের শুটিং হয়েছে। আমরা তার উপরে উঠে ছবি তুললাম। এখানে একটু সাবধান থাকবেন। উঠা নাম বেশ রিস্কি। এখন যেমন সব কিছু সবুজ, শীত কালে পুরা এলাকা বরফে ঢেকে যায়। তখন শুধু সাদা আর সাদা।

এখানে আসলেই লোকাল ফেরিওলারা এসে ধরবে, কাশ্মীরি জামা, শাল অরিজিনাল বলে বিক্রি করতে চাইবে। এগুলা আসলে গুজরাটের কারখানায় তৈরী, অরিজিনাল কাশ্মীরি না। যার বাজার দাম ১৫০-২০০ রুপি। তাই না কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিছু কিনতে হলে শ্রীনগর থেকে কিনবেন। একমাত্র ঐখানেই অরিজিনাল জিনিস পাওয়া যায়। এখানে একটি চায়ের দোকান আছে। মন চাইলে খেতে পারেন।

একটু সামনে আগানোর পর এসিস্ট্যান্ট আর যেতে চাইলনা। বলে আর যাওয়া যাবেনা, সেখানে কেউ যায়না ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে ওরা এমনই। খালি ফাঁকি দিতে চায়। লোকজন গ্লেসিয়ার এর আরো কাছাকাছি যায়। তবে যারা সোনমার্গে রাত্রি যাপন করে তারাই সাধারণত গ্লেসিয়ার এর একদম কাছে যায়। কারণ যেতে আসতে বেশ সময় লেগে যায়।

আমরা যেহেতু সোনমার্গ থাকবোনা তাই আবার ফেরত আসা শুরু করলাম। তবে আপনারা আরো সামনে যাবেন। উঠার সময় সেভাবেই বলে নিবেন। এখানে আসলে টাউটের অভাব নাই। তবে সোনমার্গ মূলত ট্রেকিং করার জন্য ভালো জায়গা। অনেকে ট্রেকিং করার জন্যই এখানে আসে। ট্রেকিং করার জন্য আলাদা লোক আছে। ভাড়ায় পাওয়া যায়।

হিন্দি মুভির শুটিং শুটিং লোকেশন

ফেরার পথে আমরা একটু নিচের দিকে আরো সন্দুর এক জায়গায় গেলাম। পুরা জায়গাটা গল্ফ মাঠের মতো, খালি উপরে পাইন গাছে ভর্তি। এই জায়গাটা অদ্ভুত সুন্দর। উপরে পাইনের ছায়া নিচে সবুজ ঘাসের কার্পেট। তাপমাত্রা A/C রুমের মতো। এবার মনে হলো আমার বাড়িটা এখানে হলেই সব থেকে ভাল হয়।

ঘাসের উপর বেশ কিছুক্ষন শুয়ে থাকলাম। এখানে প্রচুর ভেড়ার পাল ঘাস খাচ্ছে। আমরা দৌড়ে ভেড়ার পালের ভিতর গিয়ে ছবি তুললাম। এলাকাটা খুবই পরিচিত। এখানে অনেক হিন্দি মুভির শুটিং হয়েছে। অমিতাভ বচ্চনের এক মুভি যেখানে ওনি আর্মি অফিসার, এখানে শুটিং হয়েছে। মাঝে মাজে ছোট ছোট নালা দিয়ে বরফ গলা পানি গড়িয়ে পড়ছে। ভেড়াগুলো সেই পানি পান করছে। পুরা এলাকাটা এক কথায় দারুন।

প্রথম বারই কেবল এসিস্ট্যান্ট ঘোড়া থেকে নামতে এবং উঠতে সাহায্য করেছিল। এর পর প্রতিবারই আমি নিজে নিজেই নেমেছি আর উঠেছি। একদিনেই ভালো ঘোড়া চালক হয়েগেছি। সেই ইমপ্রুভমেন্ট। ফেরার পথে বালক এসিস্ট্যান্ট সব ঘোড়াকে খেপায় দিল। আর তারা অনেক জুড়ে জুড়ে দৌড়াতে লাগলো। খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। পরে মানিয়ে নেই। আসলে এই সময় বডিকে ঘোড়ার তালে তালে দুলাতে হয়।

দুপুর তিনটার দিকে আমরা পার্কিং পয়েন্টে ফেরত আসি। ঘোড়ার মালিককে তার পাওনা বুঝিয়ে দিলাম। দুই এসিস্ট্যান কে কিছু বকশিস দিয়ে দিলাম। প্রতিবন্ধী বালককে একটু বেশিই দিলাম। তারা আসলেই অনেক কষ্ট করে।

সোনমার্গ ভ্রমণ শেষে পেহেলগাম এর উদ্দেশ্যে যাত্রা

সোনমার্গ ভ্রমণ শেষে আমরা আবার প্যাহেলগামের দিকে যাত্রা শুরু করলাম। ৩:৩০ এর দিকে সিন্ধু নদীর পারে আপেল ট্রি নামক এক রেস্টুরেন্ট এ থামলাম লাঞ্চ করার জন্য। আমরা এখানে মুরগি, ভাত, সবজি খেলাম। লাঞ্চ শেষে অপূর্ব সিন্ধু নদীর পার ঘেঁষে আঁকাবাঁকা পথে আবার সামনে এগিয়ে চললাম।

দুই পাশের ভিউ দারুন সুন্দর। একটু পর পর চোখে পড়ছে আপেল গার্ডেন। প্রায় ৬ টার দিকে আমরা পৌঁছে গেলাম জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর। মূল শহরে প্রবেশদ্বারে আসতেই দেখি বস্তার তৈরী ব্যাংকারের ভিতর আর্মিরা সব ভারী ভারী আর্মস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাথে সাথেই মাইন্ড ডাইভার্ট হয়ে গেল পৃথিবীর স্বর্গ কাশ্মীর থেকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাশ্মীরে।

আমাদের গাড়ি তারা থামলোনা। আমরা এগিয়ে চললাম। একটু পর পর চোখে পড়ছে আর্মি, পুলিশ AK ৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মনে মনে একটু ভয় পেতে লাগলাম। প্রায় ৩০ মিনিট পর আমরা মোটামোটি শহরের বাহিরে চলে আসি। ড্রাইভার কে জিজ্ঞেস করলাম একটু পর পর আর্মি কেন। বললো এগুলা নিরাপত্তার জন্য।

পেহেলগাম এ রাত্রি যাপন

প্রায় ৯ টার দিকে আমরা চলে আসলাম প্যাহেলগাম। প্রথমেই এক রেস্টুরেন্ট এ রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। পরে সোজা চলে গেলাম লিডার নদীর পারে আগে থেকেই আমাদের জন্য নির্ধারিত এক কর্টেজে। আমাদের ড্রাইভার এই কর্টেজ ঠিক করে রেখেছিল। এসে দেখি এখানে ওয়াইফাই নাই, তাই বাসার সাথে আর কথা বলা হলোনা। আজ এখানে অনেক ঠান্ডা, শরীরও ভীষণ ক্লান্ত তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। কর্টেজের বর্ণনা অন্য পর্বে বলবো। কাল আমাদের সারাদিন প্যাহেলগাম এ ঘুরাঘুরি করার প্ল্যান আছে। গুড নাইট।

অন্য পর্ব গুলোও দেখে নিতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে:

সময়ে নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আশা করি খুব উপভোগ করেছেন। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনার কেমন লাগলো তা কমেন্টস করে জানালে ভালো হয়। আর ভালো লেগে থাকলে ওয়ালে শেয়ার করে বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন।

5 2 ভোট
রেটিং

লেখক

Rashedul Alam; Rasadul Alam; founder of cybarlab.com; founder of trippainter.com; trippainter.com; cybarlab.com; Bangladeshi travel blogger; Bangladeshi blogger; Bangladeshi software engineer

আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।

Subscribe
Notify of
1 মন্তব্য
Inline Feedbacks
সব মন্তব্য দেখুন

''

1
0
আমরা আপনার অভিমত আশা করি, দয়াকরে মন্তব্য করুনx