থিম্পু (Thimphu) ভুটানের রাজধানী এবং দেশের সব থেকে বড় শহর। এটি ভুটানের পশ্চিম অংশে, হিমালয় পর্বতমালার একটি উঁচু উপত্যকায় অবস্থিত। অতীতে এটি দেশের শীতকালীন রাজধানী ছিল। ১৯৬২ সাল থেকে একে দেশের রাজধানী এবং স্থায়ী প্রশাসনিক কেন্দ্রে পরিণত করা হয়। পাহাড় ঘেরা থিম্পু খুবই সুন্দর। থিম্পু শহর ভ্রমণ করে এসে আজ আমি আপনাদের আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করব।
থিম্পু শহর ভ্রমণ
নভেম্বর ২৩, ২০১৭ থিম্পু। বাহিরের তাপমাত্রা ০ ডিগ্রী। থিম্পুতে আজ আমাদের দ্বিতীয় দিন। গতকাল রাতে লম্বা এক সফর শেষ করে আমরা ভুটানের রাজধানী থিম্পু তে এসে পৌঁছাইছি। আমরা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভুটানে আসলাম যারা জানতে আগ্রহী তারা আমার আগের পর্ব টি দেখে আসতে পারেন।
গতকাল অনেক ধকল গেছে, রাতে অনেক ভালো ঘুম হয়েছে। তথাপি সূর্য ওঠার আগেই আমার ঘুম ভেঙে যায়। হোটেল নিউ গ্রান্ড এর বেডে শুয়ে আছি। আমার রুমটি বেশ বড়, দুই পাশের পুরাটাই জানালা। পুরা রুম কাঠ দিয়ে সুন্দর করে সাজানো। আমার রুমমেট মেহেদী ভাই এখনো ঘুমে। রুম হিটার চলছে, তাও উঠার সাহস পাচ্ছিনা।
থিম্পু শহর এ প্রথম সকাল
জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখি কিছু কবুতর উড়ে এসে জানালায় বসছে আবার উড়ে যাচ্ছে , তাদের বাকুম বাকুম ডাক শুনতে পাচ্ছি। একপর্যায়ে উঠে পড়ি। গতকাল অনেক রাতে পৌঁছানোর জন্য হোটেলের আসে পাশে কি আছে দেখি নাই। কৌতহল বসত পর্দা সরাইয়া বাহিরে তাকাই। বাহিরের দৃশ্য দেখে পুরাই মাথা নষ্ট !! আমার জানালা থেকে কয়েকশ মিটার দুরেই বিশাল পাহাড়। গ্লাস খুলে বাহিরে মাথা বের করে ১৮০ ডিগ্রী পর্যন্ত যতদুর দেখা যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড়। এত বড় বড় পাহাড় কাছ থেকে আগে কখনো দেখিনাই।
পাহাড়ের মাজখানে ছিমছাম গুছানো সুন্দর এক শহর। এইজন্যই লোকে ভুটান কে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড বলে। কয়েকশ কবুতর হোটেলের সামনেই ফাঁকা জায়গায় বসছে আবার চলে যাচ্ছে। উঁচু পাহাড়ের কারণে সূর্যের আলো এখনো পুরাপুরি আসে নাই। ঠান্ডা বেশি থাকায় আবার কম্বলের নিচে চলে আসি।
একটু পরেই মেহেদী ভাই উঠে পরে। উনি বাহিরে তাকাইয়া চিৎকার দিয়ে বলে ও মাই গড!! কত বড় পাহাড়!! আর কত সুন্দর শহর!! তাকে দেখে আমিও আবার উঠে পড়ি। তখন একটু একটু করে সূর্যের আলো আসছে। উঁচু পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে সূর্যোদয় দেখতে অনেক সুন্দর।
কিছুক্ষন পর পাশের রুম থেকে রিয়াজ ভাই চলে আসে, আর বলে ভাই কি ঠাডারে!! কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে কল করে অন্যদের ঘুম থেকে জাগাই আর ফ্রেস হয়ে বের হতে বলি। আমরাও ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নেই। টয়লেটে গ্রিজার থাকায় গোসল করতে ভালোই লাগলো। এরই মধ্যে সবাই আমাদের রুমে চলে আসে।
আজ আমাদের থিম্পু শহর ভ্রমণ করার প্ল্যান আছে। তাই সারাদিন আর সময় পাবনা। সবাই যারা যার পরিবারের সাথে কথা শেষ করে হোটেলের দ্বিতীয় তলায় চলে আসি নাস্তা করার জন্য। সকালে আমরা পরোটা আর ডিম খাই। এগুলাই আমাদের পরিচিত খাবার। সবাই ৩-৪ তা করে ডিম খেয়ে নেই। আপনারাও তাই করতে পারেন। তাহলে সারাদিন আর তেমন ক্ষুদা লাগবেনা, আর দেহের তাপমাত্রাও একটু বাড়বে।
কিভাবে নিবেন পুনাখা যাবার পারমিশন
সকাল ৯ তার মধ্যেই আমরা নাস্তা শেষ করে হোটেলের নিচে চলে আসি। ততক্ষনে সূর্য তেজ একটু বেড়া গেছে, তাপমাত্রাও একটু বেড়েছে। আমরা যেহেতু কাল পুনাখা যাবো তাই একটা ট্যাক্সি নিয়ে চলে আসি থিম্পুর ইমিগ্র্যাশন অফিসে। এটি নরজিন ল্যাম এ অবস্থিত। সবার পাসপোর্ট জমা দেই আর ছোট একটা ফর্ম পূরণ করি। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা আমাদের পুনাখার পারমিশন দিয়ে দেয়, আর কোনো প্রকার ফি ছাড়াই। তেমন কিছুনা একটা কাগজে সবার নাম, পাসপোর্ট নাম্বার সব লিখা থাকে। পুনাখা যাবার সময় বিভিন্ন চেক পোস্ট এ এটা দেখতে হবে।
থিম্পু শহর এর দর্শনীয় স্থান
থিম্পুতে ঘুরার মতো অনেক জায়গা আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: বুদ্ধ দর্দেনমা স্ট্যাচু, তাজ তাশি বা তাজ হোটেল, ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম, কিংস মেমোরিয়াল চড়টেন, ক্লক টাওয়ার স্কয়ার, সীমতখা ডিজং, ন্যাশনাল তাকিন সংরক্ষিত চিড়িয়াখানা, পার্লামেন্ট হাউস, রাজপ্রাসাদ, লোকাল মার্কেট, ন্যাশনাল স্কুল অব আর্টস, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, বিবিএস টাওয়ার ছাড়া আরো অনেক কিছুই। থিম্পু শহর ভ্রমণ করতে চাইলে মোটামোটি এগুলো ভিজিট করলেই চলে। আমাদেরও সব গুলোতে যাবার প্ল্যান আছে।
ক্লক টাওয়ার স্কয়ার
ক্লক টাওয়ার স্কয়ার (Clock Tower Square) থিম্পুর একটি খুবই পরিচিত স্থান। একে থিম্পু টাইম স্কয়ার ও বলা হয়। এখানে একটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে যার মাথার চার দিকে আছে চার টি বড় বড় ঘড়ি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হয়। থিম্পুতে আমাদের হোটেল ক্লক টাওয়ার এর সাথেই ছিল। সকালে এখানে এসে আমরা কিছু সময় অতিবাহিত করি।
থিম্পু শহর এ শপিং
থিম্পু শহরের মাঝখান দিয়ে প্রধান সড়ক চলে গেছে। এর আসে পাশে বেশ কিছু মার্কেট, দোকান রয়েছে। থিম্পু তে ইমিগ্র্যাশন অফিসের কাছে নরজিন ল্যাম এ আমাদের ফুটপাথের মতো, বিশাল লম্বা একটা লোকাল মার্কেট আছে। দোকানগুলো সব ছোট ছোট আমাদের টং এর দোকানের মতো। এখন থেকে আমরা কিছু লোকাল প্রোডাক্ট কিনি। তবে ভুটানে সব কিছুই অন্য দেশ থেকে আসে। তাই দাম অনেক বেশি।
তাজ তাশি বা তাজ হোটেল
আমরা হেঁটেই চলে যাই থিম্পুর সব থেকে সুন্দর ভবন তাজ তাশি বা তাজ হোটেল (Taj Tashi Hotel) দেখতে। তাজ তাশি থিমম্পুর সব থেকে সুন্দর স্থাপনা। এটা ভুটানের প্রথম ফাইভ স্টার হোটেল। ভবনটি আসলেই অনেক সুন্দর এবং বিশাল। সেখানে আমার কিছু ছবি তুলি।
পায়ে হেঁটে আমরা আরো কিছু এলাকা দেখি। ১২০০ রুপী করে দুই টা ট্যাক্সি ভাড়া করে নেই। ট্যাক্সি আমাদের কে থিম্পুর বাকি সব স্থাপনা গুলা তে নিয়ে যাবে। আপনারা দরদাম করে, কোথায় কোথায় যাবেন তা বলে নিবেন। তবে সব থেকে ভাল হয় থিম্পুতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানের জন্যই শুধু ট্যাক্সি ভাড়া করা। ঘুড়াঘুড়ি শেষ করে আবার ওই স্থান থেকে ট্যাক্সি নিবেন। তাহলে খরচ একটু কম হবে।
ট্যাক্সি থিম্পুতে আমাদের ঢাকার রিক্সার মতো, সব জায়গায়, সব সময়ই পাওয়া যায়। থিম্পু শহর ঘুরে আমাদের অনেক ভাল লাগে। থিম্পু আসলেই অনেক সুন্দর একটা শহর। নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
ন্যাশনাল মেমোরিয়াল চোটেন
এর পর আমরা চলে যাই ন্যাশনাল মেমোরিয়াল চোটেন (National Memorial Chorten) দেখতে। এটি মূলত একটি স্মৃতিস্তম্ভ। ভূটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙচুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এটি নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখানে সরকারি ভাবে উদযাপন করা হয়। এক সময় এখানে প্রবেশ ফ্রি থাকলেও এখন ৩০০ রুপী দিয়ে টিকেট কাটা লাগে। আমরা এখানে কিছু সময় পার করি এবং ছবি তুলি।
বুদ্ধ দর্দেনমা স্ট্যাচু
তার পর আমরা চলে যাই বোদ্ধ পয়েন্টে। এখানে পাহাড়ের উপর বোদ্ধের এক বিশাল মূর্তি বানানো আছে। এর নাম বুদ্ধ দর্দেনমা স্ট্যাচু (Buddha Dordenma Statue)। এটি পৃথিবীর সব থেকে বড় বুদ্ধ মূর্তি। একে অনেক দূর থেকেই দেখা যায়। এটি সোনালী রঙের। কাছে যেতেই আমরা অবাক, এতো বিশাল মূর্তি বানালো কিভাবে!! এর চারপাশে আছে আরো অনেক গুলো ছোট ছোট মূর্তি। সব গুলোই সোনালী রঙের।
বোদ্ধের মূর্তির নিচে আছে পার্থনাগার। এটি খুব সুন্দর। পুরো ইন্টেরিওর সোনালী রঙের। সেখানে একটা কাহিনী প্রচলিত আছে। তাদের কোন এক রাজা যিনি মৃত, এখানে আসে। আর এখানকার প্রধান সাধকের সাথে কথা বলেন। সবাই অবশ্য তারে দেখতে পায়না। বড়ই আফসোস আমরাও পাই নাই। কি আর করা দুঃখ ভরা মনে সেখান থেকে চলে আসি।
ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম
এর পরে আমরা চলে যাই থিম্পু ফোক হেরিটেজ মিউজিয়াম (Folk Heritage Museum) দেখতে। মিউজিয়াম টি ভুটানের ঐতিহ্য আর প্রাচীন গ্রামীণ জীবনের এক প্ৰতিচ্ছবি। এখানে গেলে সহজেই ভুটানের ইতিহাসের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। ভিতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো সুন্দর একটা বাগান যা নানান রকমের গাছপালায় ভরপুর, বসার জন্য টেবিল, চেরার। ভিতরের পরিবেশ খুবই সুন্দর।
এখানে রয়েছে আগের দিনের উইন্ড মেইল, পানি সংগ্রহশালা, ভোজ্য তেল তৈরির মেশিন, শস্য রাখার পাত্র, ইত্যাদি নানা ইতিহ্যবাহী জিনিস। ভিতরে একটি রেস্টুরেন্ট আছে। আপনারা চাইলে দুপুরের খাবার বাগানে বসে খেতে পারেন। দারুন হবে ব্যাপারটা। কিন্তু আগের দিনের খাবারের অভিজ্ঞতার কারণে আমাদের আর সাহস হলোনা।
আরো এখানে আছে প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো একটি বাড়ি। মিউজিয়ামে ঢুকা ফ্রী হলেও পুরোনো এই বাড়িতে ঢুকতে ৫০ রুপীর টিকেট কাটা লাগে। আমরা টিকেট কেটে ভিতরে গেলাম। তিনতলা একটি মাটির ঘর। ঢুকেই দেখি রান্না ঘর আর কিছু মহিলা চাল থেকে হুইস্কি বানাচ্ছে। চাইলে কিনতে পারেন।
আমরা সিঁড়ি বেয়ে ঘরটির বিভিন্ন ফ্লোর পরিদর্শন করি। সিঁড়িদিয়ে উঠার সময় একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আর ভিতরে কোনো জিনিস হাত দিয়ে ধরবেন না। এগুলা অনেক পুরানো তাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এর পাশেই রয়েছে ভুটানের জাতীয় গ্রন্থাগার, বিভিন্ন হেরিজেট শপিং মল। সময় থাকলে সেখানে যেতে পারেন।
ভুটান রয়েল প্রসাদ
এর পর আমরা চলে যাই ভুটানের রাজার প্রসাদ (Bhutan Royal Palace) দেখতে। ভুটানিরা একে Tashichhoe Dzong বা Thimpu Dzong ও বলে। এটি রাজার অফিসিলাল এবং প্রধান প্রাসাদ। প্রত্যেক ডিস্ট্রিক্ট বা শহরেই রাজার একটা করে প্রাসাদ আছে। সেগুলা অবশ্য এত বড় না। কেবল পুনাখা শহরের টা একটু বড়। যাই হোক রাজ মেহমান না হওয়ায় আমরা আর ভিতরে যেতে পারিনাই। তাই বাহির থেকেই ঘুরে চলে আসি।
থিম্পু নদী
তার পর চলে যাই অপরূপ সুন্দর থিম্পু নদী (Thimphu River) দেখতে। এটি আমাদের নদী গুলার মতো চওড়া না। এই নদী ভুটান, ইন্ডিয়া হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যাকে আমরা ব্রহ্মপুত্র নদ বলে চিনি। এটি কিন্তু মারাত্মক খরস্রোতা। এই নদী উপরের পাহাড় থেকে প্রচুর পাথর বয়ে নিয়ে আসে। আমরা কিছুক্ষন এর তীর ধরে হাটলাম।
আর্চারি গ্রাউন্ড
সর্বশেষ আমরা যাই থিম্পু আর্চারি গ্রাউন্ড (Thimphu Archery Ground) দেখতে। এটি থিম্পু নদীর উপর যে ব্রিজ আছে তার পাশেই। আর্চারি বা তীরধনুক ভুটানের জাতীয় খেলা এবং ঐতিহ্য। এরা এখনো এটাকে ধরে রেখেছে। ভুটানে প্রায় প্রত্যেক শহরেই এমন একটি আর্চারি গ্রাউন্ড আছে। ১৫০-২০০ মিটার দুরুত্বে তীরন্দাজদের নিশানা লাগানো দারুন বেপার।
থিম্পু শহর ভ্রমণ শেষে
আজ সারাদিন অনেক হাটাহাটি করেছি। শরীরের উপর দিয়ে প্রচুর ধকল গেছে। কারোর পা ই আর চলছেনা। তাই সন্ধ্যার একটু আগ দিয়ে হোটেলে ফিরে আসি। কিছুক্ষন রেস্ট করে, হালকা কিছু নাস্তা করে আবার বের হই রাতের থিম্পু শহর দেখার জন্য। কিন্তু রাট ৮ তা বেজে গেছে , সব কিছুই ফাঁকা ফাঁকা। সবাই চলছে যার যার বাসার দিকে। বাহিরে মারাত্মক ঠান্ডা আর বাতাস। কিছু রেস্টুরেন্ট আর বার খোলা আছে। এদিক সেদিক ঘরাঘুরি করে ১০-১১ তার দিকে আমরাও হোটেলে ফিরে আসি।
অন্য পর্ব গুলোও দেখে নিতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে:
- পর্ব ১: সড়ক পথে ভুটান ভ্রমণ
- পর্ব ২: থিম্পু শহর ভ্রমণ
- পর্ব ৩: দোচুলা পাস ভ্রমণ
- পর্ব ৪: পুনাখা সাসপেনশন ব্রিজ ভ্রমণ
- পর্ব ৫: চেলে লা পাস ভ্রমণ
- পর্ব ৬: পারো শহর ভ্রমণ
- পর্ব ৭: ভুটান ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরা
সময়ে নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আশা করি খুব উপভোগ করেছেন। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনার কেমন লাগলো তা কমেন্টস করে জানালে ভালো হয়। আর ভালো লেগে থাকলে ওয়ালে শেয়ার করে বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন।
লেখক
আমি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করলেও ঘুরে বেড়াতে আমি ভীষণ ভালোবাসি। আমি আমার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কে এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত শেয়ার করি।